logo
আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫০
জেএসএস সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাসদস্য নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক ও বান্দরবান প্রতিনিধি

জেএসএস সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাসদস্য নিহত

ছবি: আইএসপিআর

বান্দরবানে জেএসএস সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক সেনাসদস্য নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

নিহত এবং আহত সেনা সদস্যদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহত সেনা সদস্য হলেন- টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান। আহত সৈনিকের নাম ফিরোজ। তার ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

আইএসপিআর’র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টায় দিকে বান্দরবান জেলার রুমা জোনের একটি টহল দলের সঙ্গে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং একজন সৈনিক আহত হন।’

আরও জানানো হয়, ‘জেএসএস পন্থী সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি করতে আসবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াংলেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি নিরাপত্তা টহল দল ওই এলাকায় যায়।

‘রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে টহল দলটি বথিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত টহল দলের উপর গুলি করে। সেনা টহল দলটির দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সাহসী পাল্টা হামলায় জেএসএস মূল দলের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আলামত পাওয়া যায়।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পরেন এবং সৈনিক ফিরোজ নামে একজন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। নিহত এবং আহত সেনা সদস্যদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হেলিকপ্টারে করে স্থানান্তর করা হয়।

‘অভিযানে সেনা টহল দল সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের পাঁচ রাউন্ড গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা জব্দ করা হয়। বর্তমানে সেনা টহল দল ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি জারি রেখেছে এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।’

আইএসপিআর’র সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেনা সদস্যরা নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান আঞ্চলিক দলসমূহ হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে।’