logo
আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:২১
বিপিএল
সিলেটকে উড়িয়ে দিল খুলনা
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিলেটকে উড়িয়ে দিল খুলনা

উইকেট জমা থাকলেও বড় স্কোর হলো না সিলেটের। ব্যাট হাতে যদিও ঝড় তুললেন একা মোহাম্মদ মিঠুন। তারপরও মিরপুরের মাঠে ১৪২ রান মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু এমন লক্ষ্য মামুলি বানিয়ে দিল খুলনা টাইগার্সের দুই ওপেনার ফ্লেচার ও সৌম্য সরকার। দুজনেই দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দিলেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। শেষটা ফ্লেচার করলেন মারমুখি পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে। খুলনা জেতে ৯ উইকেটে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪২ রান করে সিলেট। জবাবে খুলনা লক্ষ্য স্পর্শ করে ১ উইকেট হারিয়ে, ৩৪ বল হাতে রেখে, ১৪৪/১। ৭১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন খুলনার ক্যারিবীয় ওপেনার ফ্লেচার।

বিপিএলে ছয় ম্যাচে খুলনার এটি তৃতীয় জয়, হারও তিনটি। এ জয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে খুলনা। অন্যদিকে সিলেটের ৫ ম্যাচ এটি চতুর্থ হার। অবস্থান তলানিতে। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন খুলনার দুই ওপেনার ফ্লেচার ও সৌম্য। সিলেটের বোলারদের কচুকাটা করেন দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৯৯ রান। শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভাঙেন সিলেটের নাজমুল ইসলাম। ৩১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ রান করা সৌম্য নাজমুলের বলে ক্যাচ দেন জুবায়েরের হাতে। তবে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নে সারেন ফ্লেচার ও পেরেরা। ১৪.২ ওভারে লক্ষ্য স্পর্শ করে খুলনা। ৪৭ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার। তার ইনিংসে ছিল সমান ৫টি করে চার ও ছক্কা। ৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ রানের খণ্ড ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। সিলেটের হয়ে বল হাতে একটি উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

খালেদ আহমেদের বলে প্রথম বিদায় নেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ১০ বলে মাত্র ৪ রান করে নাবিল সামাদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্সকে সাজঘরে ফেরত পাঠান খুলনার পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৯ বলে সিমন্স করেন ৬ রান। ভালো করতে পারেননি কলিন ইনগ্রামও। ৩ বলে ২ রান করে তিনি নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লিউ। পঞ্চম উইকেটে মিথুন ও মোসাদ্দেক দলের হাল ধরেন। এ জুটি দলকে নিয়ে যান ১০২ রান পর্যন্ত। এ জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। ৩০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রান করা মোসাদ্দেককে জাকের আলীর ক্যাচ বানান তিনি। বাকি পথটা মিঠুন ও মুক্তার আলীই পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে বিদায় নেন মিঠুন। সৌম্য সরকারের বলে বিদায় নেয়ার আগে মিঠুন খেলেন ৫১ বলে ৭২ রানের দারুণ ইনিংস। তার ইনিংস সাজানো ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়। মুক্তার আলী ৫ ও নাদিফ চৌধুরি ৬ রানে থাকেন অপরাজিত। বল হাতে খুলনার হয়ে খালেদ আহমেদ দুটি, নাবিল সামাদ, কামরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার নেন একটি করে উইকেট।