কক্সবাজার সদর হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারী চিকিৎসককে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের বেতন-ভাতা কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রতিবাদে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন সদর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ শাখার সদস্যরা। ফলে সকাল থেকে কোনো ওয়ার্ডে ইন্টার্নরা তাদের কাজে যোগ দেননি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর কক্সবাজার সদর হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীসহ অশালীন আচরণের অভিযোগ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কিন্তু অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো ওই ছয় নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের তিন মাসের এক্সটেনশন ও বেতন ভাতা কেটে রাখার আদেশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা করে ইন্টার্নরা, যা এখনো চলছে।
কক্সবাজার ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মীর ম.ম. বিল্লাহ বলেন, ‘২৬ নভেম্বরের অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো ইন্টার্নদের উপর চাপিয়ে দিয়ে ছয় ইন্টার্নের বিরুদ্ধে আদেশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। যা প্রহসনমূলকভাবে করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক শুধু নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক নন, রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও এমন আচরণ করেন। এগুলেঅ লিখিত আকারে দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
ছয় ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জারিকৃত আদেশ প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ কর্মবিরতি চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ডা.মাহফুজ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে। তাই অনতিবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান চান কক্সবাজারের সুশীল সমাজ।