logo
আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:১১
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ
চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার অষ্টম
ক্রীড়া ডেস্ক

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার অষ্টম

জয় শেষে মাঠ ছাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা

দূর্ভাগ্য আরিফুল ইসলামের। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু দল জয়ের দেখা পায়নি। বৃহষ্পতিবার সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও এই তরুণ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন ১০২ রানের ঝলমলে ইনিংস। তারপরও দলের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। সেই হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। স্কোর বোর্ডে ২৯৩ রান জমা করেও দুই উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আর তাই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশকে এবার অষ্টম হয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে।

আগের ম্যাচে প্লে অফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা ভালো ছিল না। দলীয় ১৭৫ রানের মধ্যে আরিফুল ১০০ রান করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জয়ের পর আরিফুলের ব্যাটিংয়ের মতো বাংলাদেশের ব্যাটিংও ছিল উজ্জ্বল। আরিফুলের সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল দলকে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার মোহাম্মদ ফাহিম ও এসএম মেহরাব। তাদের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ২৯৩ রান করেছিল।

দুই ওপেনারের কীর্তিতে প্রথম উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ৫৭ রান। ২৯ বলে ৩১ রান করে মাহফিজুলের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ইনিংসে ছোট্ট একটা ধস নেমেছিল। সেই ধসে মাহফিজুলের পাশাপাশি প্রান্তিক (৩৮) ও আইচ মোল্লা (১) বিদায় নিয়েছিলেন। ৮৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর আরিফুলের সেই কাব্যিক ইনিংসের সূচনা। ফাহিমকে নিয়ে তিনি চতুর্থ উইকেটে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।

উাহিম ৩২ বলে ৩৬ রান করেন। অন্যদিকে আরিফুল ১০২ রান করতে খেলেছেন ১০৩ বল। আর ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ৯টি। ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনটি। তবে আরিফুলের সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন মেহরবের সঙ্গে। পঞ্চম উইকেটে তার সঙ্গে তিনি খেলেছেন ১১৭ রানের জুটি। মূলত এ জুটিই বাংলাদেশকে বড় রানে পৌঁছে দেয়। কিন্তু এ রানকেও বোলাররা ধরে রাখতে পারেননি। বড় রান খরচ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সফল বোলার ছিলেন কেউনা মাফাকা। ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরুতে মুশফিক হাসান বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মুখে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও একটু হাসি ফোটাতে পেরেছিলেন। মাত্র ১০ রানে তিনি ওপেনার জেড স্মিথকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর শুধু হতাশারই গল্প। দ্বিতীয় উইকেটে রোনান হারমান ও ডেভাল্ড ব্রেভিস বাংলাদেশের বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছেন। ৮৬ রানের পার্টনারশিপ তাদের। হারমান ৪২ বলে ৪৬ রান করেন। আর ব্রেভিস খেলেছেন ১৩৮ রানের ঝকমকে ইনিংস। মাত্র ১৩০ বলে এ রান করেই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচকে নিজেদের করে নেন। ১১টি বাউন্ডারি ও সাতটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি।

রিপন মন্ডল দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে বাংলাদেশের শিবিরে কিছু সময় আনন্দ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কেননা এ সময়ে মাত্র ১৭ রানে বাংলাদেশ তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল। ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা তখনও জয় থেকে অনেক দূরে থাকলেও ম্যাথিউ বোস্টের ঝড়ো ব্যাটিং বাংলাদেশকে হতাশায় ডোবায়। মাত্র ২২ বল খেলেছেন তিনি। কিন্তু স্কোর বোর্ডে যোগ করেছেন ৪১ রান। কম যাননি আন্দিল সিমেলেন। ১১ বলে করেছেন ২০ রান। শেষ পর্যন্ত সাত বল ও দুই উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের রিপন মন্ডল, মুশফিক হাসান ও এসএম মেহরাব দুটো করে উইকেট নেন।