logo
আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:৫২
কোপা দেল রে
বার্সেলোনার পর রিয়ালকেও বিদায় করলো বিলবাও
ক্রীড়া ডেস্ক

বার্সেলোনার পর রিয়ালকেও বিদায় করলো বিলবাও

গোলের পর বিলবাওয়ের উল্লাস

আশা ছিল ট্রেবল জেতার। স্বপ্ন দেখছিল ট্রফির শো কেসে আবার কোপা দেল রে ট্রফি রাখার। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের সব আশা শেষ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার রাতে কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে তাদের বিদায় ঘন্টা বাজিয়েছে অ্যাথলেটিক বিলবাও। শেষ সময়ে অ্যালেক্স বেরেনগুয়ে গোল করে একদিকে যেমন রিয়ালের বিদায় ঘন্টা বাজিয়েছেন তেমনি নিজেদের মাঠে পাওয়া এ জয় বিলবাওকে পৌঁছে দিয়েছে সেমিফাইনালে। রায়ো ভায়েকানো, ভ্যালেন্সিয়া ও রিয়াল বেতিসের পাশাপাশি এখন তারাও ট্রফির জন্য লড়বে।

বিলবাওয়ের কাছে আগের রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছে কোপা দেল রের সর্বাধিক শিরোপা জয়ী বার্সেলোনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দলটি আগেভাগে বিদায় নেওয়ায় এ ট্রফিটি জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছিল রিয়াল। স্বপ্ন দেখছিল আট বছর না জেতা ট্রফিটি আবার ঘরে তোলার। ২০১৪ সালে সর্বশেষ তারা এ টফিটি জয় করেছিল। তারপর থেকে শুধু হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে। অন্যদিকে বিলবাওয়ের সামনে এসেছে আরও একটি কোপা দেল রে জয়ের সুযোগ। বার্সেলোনা সবচেয়ে বেশি ৩১ বার এ শিরোপা জয় করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ জয় করেছে ১৯ বার। আর বিলবাও জিতেছে ২৩ বার।

রিয়াল মাদ্রিদ এ ম্যাচে অবশ্য তাদের সেরা দলটি নামাতে পারেনি। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা করিম বেনজেমা ইনজুরির কারণে ছিলেন না। তাছাড়া দলে ছিল না কোনো নির্ভরযোগ্য লেফট ব্যাক। ফারল্যান্ড মেন্ডি, মার্সেলো ও মিগুয়েল গুতিয়েরেজ কেউই ছিলেন না। ফলে কোচ কার্লো আনচেলোত্তিকে ভিন্ন পথ বেছে নিতে হয়েছিল। ডেভিড আলবা ছিলেন বায়ে। আক্রমণভাগ সাজিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রডরিগো গোয়েস ও মার্কো অ্যাসেনসিও। কিন্তু তাদের কেউ কাজের কাজটি করতে পারেননি। বেনজেমার অভাব দূর করতে পারেননি।

রিয়ালের জন্য দিনটি আসলে স্বস্তির ছিল না। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সমর্থকরা তাদের জন্য মোটেও শুভেচ্ছার মালা নিয়ে গ্রহণ করেনি। স্টেডিয়ামে আসতেই তাদের বাস লক্ষ্য করে বিলবাওয়ের সমর্থকরা বোতল ছুঁড়তে থাকে। একটা বোতল রিয়ালের খেলোয়াড়দের বহনকারী বাসে আঘাত করে। পরে এ ঘটনায় বিলবাও ক্ষমা প্রার্থনা করে।

ম্যাচে বিলবাওয়ের শুরুটা ছিল দারুণ। শুরুতেই তারা রিয়ালকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছিল। ডানি গার্সিয়ার শট এ সময় কোনোমতে রুখে দেন থিবো কর্তোয়া। প্রথমার্ধে ভালোভাবেই খেলা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল বিলবাও। ইকের মুনিয়াইনের একটা শট রিয়ালের পার্শ্ব জালে আঘাত করে। এছাড়া ইনাকি উইলিয়ামসও একবার গোল থেকে বঞ্চিত হন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা ঠিকই হেসেছে জয়ের হাসি।