ব্যাট-বল হাতে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির কীর্তি কম নয়। এমন কিছু তিনি গড়েছেন, যা ক্রিকেট ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। সেইসঙ্গে নিজে হয়েছেন সম্মানিত। কিন্তু পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বৃহস্পতিবার কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে এমন এক রেকর্ড গড়েছেন, তা তিনি কোনোদিন মনে করতে চাইবে না। এদিন করাচিতে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড তার বোলিংয়ে রান উৎসব করেছে। বল হাতে একটা সময় অনেক ব্যাটসম্যানের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু পড়ন্ত বেলায় তাকে সামনে পেয়ে কলিন মুনরো ও আজম খান রান উৎসব করেছেন। ম্যাচে ৪ ওভারে আফ্রিদির খরচ ৬৭ রান। উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি।
সপ্তম ওভারে আফ্রিদি বল হাতে নিয়েছিলেন। এ ওভারে কলিন মুনরো দুটি ছয়সহ ১৮ রান তুলে নেন। পরের ওভারটি অবশ্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। মাত্র ১০ রান দিয়েছিলেন। বিরতির পর ১৪তম ওভারে আবার বল তুলে নেন। এ ওভারেও আজম খান তার ওপর চড়াও হন। টানা ২টি ছয়ের পাশাপাশি ১টি চারও মারেন তিনি। আফ্রিদির খরচ হয় ১৯ রান। তবে আফ্রিদির জন্য সবচে বেশি খরুচে ওভার ছিল ইনিংসের ১৯তম ও আফ্রিদির শেষ ওভার। এ ওভারে তার খরচ হয় ২০ ওভার। প্রথম ৪ বল থেকে ৩টি ছয় হাঁকান আজম খান। অবশ্য পরের বলে আজমের উইকেটটি তুলে নেন আফ্রিদি। ওভারের শেষ বলটি ডট ছিল। তা সত্ত্বেও পাকিস্তান সুপার লিগে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের হাত থেকে রেহাই পাননি। এ ম্যাচে ৬৭ রান দিয়ে ১ উইকেট পান। এর আগে ২০১৯ সালে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ৬২ রানে ১ উইকেট পেয়েছিলেন। আফ্রিদির এদিনের বোলিংয়ের আগে পিএসএলে খরুচে বোলিং ছিল জাফর গহরের। গত বছর ৬৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি।