ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আরও একটা হতাশা উপহার দিল মিডসলসবরা। এবার এফএ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। শুক্রবার রাতে ওল ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে মিডলসবরার কাছে হেরে গেছে ম্যানইউ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকা ম্যাচে মিডলসবরা ৮-৭ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জয় নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে গেছে।
স্বাগতিক দল ম্যাচ জয়ের দারুণ এক সুযোগ হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। ম্যাচের ২০তম মিনিটে তারা ব্যবধান রচনা করতে পারতো। এ সময় ম্যানইউয়ের পল পগবাকে নিজেদের বিপদ সীমানার মধ্যে অবৈধভাবে বাধা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল মিডলসবরার ডিফেন্ডার। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ম্যানইউতে নতুনভাবে ক্যারিয়ার শুরু করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। তার শট বাইরে চলে যায়।
তবে ম্যানইউকে এ হতাশা খুব বেশি সময় বয়ে বেড়াতে হয়নি। কয়েক মিনিটে ব্যবধানে জেডন সানচো গোল করে একদিকে ম্যানইউ সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেন। অন্যদিকে রোনালদো হতাশা থেকে কিছুটা হলে মুক্তি পান। সানচোর গোল এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যানইউ।
বিরতি থেকে আসার পর আবার হতাশা ডুবতে হয় ম্যানইউকে। এবার আর কেউ গোল নষ্ট করেনি তবে গোল হজম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। ডানকান হোয়াটমোরের কাছ থেকে বল পেয়ে ম্যাট ক্রুকস সফরকারীদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। হ্যান্ডবলের অভিযোগে ম্যানইউ গোল বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। হোয়াটমোর যখন বলটি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন তখন মনে হয়েছিল বল তার হাতে লেগেছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি। পরবর্তী রেফারি ভিএআর দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং গোলের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
ম্যাচে ম্যানইউ নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই। একটা দল জয় থেকে বঞ্চিত থাকার জন্য যা যা দরকার তার সবকছিুই ঘটেছে ম্যাচে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থতা, ক্রসবারে বল লাগা, একাধিক সুযোগ নষ্ট করা সবকিছুই ঘটেছে। রোনালদোর একাধিক সুযোগ মিডলসবরার গোলরক্ষক নষ্ট করে দিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে র্যাংনিক বলেন, ‘ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটেছে। হতাশাজনক সব বিষয় দেখা দিয়েছে। অথচ ম্যাচে আমাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল। শুধু তাই নয়, প্রথমার্ধেই ম্যাচটা শেষ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এ সময় দুই থেকে তিন গোলে এগিয়ে থাকা উচিত ছিল আমাদের।’
র্যাংনিক আরও বলেন, ‘আমরা একটা গোল হজম করেছি। রেফারি কেনটা গোলটা মেনে নিলো তা আমি বুঝতে পারছি না। সে হাতে দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। যাহোক ম্যাচে আমাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল।’
টাইব্রেকারে উভয় দলই যথেষ্ঠ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। উভয় দল তাদের প্রথম সাত ম্যাচেই গোল করেছে। মিডলসবরার পক্ষে অষ্টম শট নেওয়া লি পেলটিয়ের বোরোও ছিলেন সফলদের দলে। তবে এ তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি ম্যানইউয়ের অ্যান্থনি ইলাঙ্গা। তার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যেতেই আনন্দে মেতে ওঠে মিডলবরার খেলোয়াড়রা। আর হতাশায় ডোবে রোনালদের সতীর্থরা।
এই হার ম্যানইউয়ের জন্য যথেষ্ঠ হতাশাজনক। ম্যাচের পরিস্থিতি থেকে কেউ ভাবতেও পারেনি ম্যানইউকে পঞ্চম রাউন্ডে থাকছে না। মিডলসবরা যেখানে মাত্র ছয়বার গোলের চেষ্টা করেছে সেখানে ম্যানইউয়ের চেষ্টার সংখ্যা ছিল অন্তত ত্রিশটি।