পারলো না আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর হেরে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে অংশ নেয়। সেখানেও সাফল্য ধরা দেয়নি আফগানিস্তানের হাতে। শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে চতুর্থ হতে হয়েছে তাদের। এখানেও তীরের কাছে গিয়ে তরী ডুবেছে আফগানিস্তানের। দুই উইকেটে হেরেছে। তাদের করা ২০১ রান মাত্র ৫ বল হাতে রেখে টপকে গেছে অস্ট্রেলিয়া। সে সঙ্গে টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত হয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কুলিজে অনুষ্ঠিত স্থান নির্ধারণী এ ম্যাচের মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এখন শুধুমাত্র শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ বাকি। শনিবার রাতে এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ভারত ও ইংল্যান্ড।
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারা আফগানিস্তান এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাদের শুরুটা ভালো ছিল না। ১৫ রানের মধ্যে তারা দুই উইকেট হারায়। তারপর তারা ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। মূলত এদিন আফগানিস্তানের বেশির ভাগ ব্যাটারই তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেনি। ব্যতিক্রম ছিলেন ইজাজ আহমদ আহমদজাই। ৮১ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দিয়েছেন। করেছেন ঝড়ো ব্যাটিং। ৭৯ বলে খেলা তার এ ইনিংসে পাঁচটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি ছিল। মূলত তার ইনিংসের ওপর ভর করেই আফগানিস্তান লড়াকু ইনিংস দাঁড় করাতে সমর্থ হয়।
ইজাজ আহমদের পাশাপাশি স্কোরবোর্ডে অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ ইসহাক ও অধিনায়ক সুলিমান সাফি। তবে দুইজনই অনেক বেশি বল নষ্ট করেছেন। ইসহাক ৩৪ রান করতে খেলেছেন ৬০ বল। আর সুমিলান ৩৭ রান করেছেন ৭০ বলে। দুটো রান আউটের ফাঁদে পড়েছিল আফগানিস্তান।
অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলার ছিলেন উইলিয়াম সালজমান ও নিভেথান রাধাকৃষ্ণ। উভয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন। নিভেথান বল হাতে যেমন ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন। আফগানিস্তানের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। সে সঙ্গে আফগানিস্তানের হাত থেকে ম্যাচকে কেড়ে নিয়েছেন। ৯৬ বলে ৬৬ রান করেছেন। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
মূলত নিভেথান ও ওপেনার ক্যাম্পবেল কেলাওয়ের ব্যাটিংই আফগানিস্তানকে হতাশায় ডুবিয়েছে। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৬০ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের প্রতি অকৃপণভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের বোলাররা। অতিরিক্ত খাত থেকে তারা অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে ২৭ রান জমা করেছেন। এর মধ্যে ওয়াইড বল ছিল ২৬টি। বোলিংয়ে আরও একটু সতর্ক হতে পারলে হয়তো আফগানিস্তানকে হতাশায় ডুবতে হতো না। বরং তারা জয়ের হাসি হাসতে পারতো। সেমিফাইনালের হারের জ্বালায় কিছুটা উপশম হতো।