logo
আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:০৭
একুশে পদকে সম্মানিত ৭ সংস্কৃতিজন

একুশে পদকে সম্মানিত ৭ সংস্কৃতিজন

নজরুল ইসলাম বাবু (প্রথমে) মাসুম আজিজ, জিনাত বরকতউল্লাহ, আফজাল হোসেন (ওপরে বাম থেকে) খালেদ খান, মাহমুদুর রহমান বেণু, ইকবাল আহমেদ (নিচে বাম থেকে)

গত বৃহস্পতিবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবার একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য আছেন ৭ জন ব্যক্তিত্ব।

তারা হলেন- জিনাত বরকতউল্লাহ (নৃত্য), নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর, সংগীত), ইকবাল আহমেদ (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু (সংগীত), খালেদ খান (মরণোত্তর, অভিনয়), আফজাল হোসেন (অভিনয়) ও মাসুম আজিজ (অভিনয়)। এই স্বীকৃতিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাই উচ্ছ্বসিত।


জিনাত বরকতউল্লাহর মেয়ে অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ বলেন, ‘আজ আমার মায়ের জন্য আমি গর্বিত। মাকে পুরস্কারের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার নয়। আমার মায়ের নৃত্যের প্রতি যে অবদান ছিল, আজ তার স্বীকৃতি মিলেছে। আমরা অনেক খুশি।' 


আফজাল হোসেন বলেন, ‘এমন একটা জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করাটা কঠিন। আমি আরো একটু সময় নিতে চাই। তারপর গুছিয়ে সমস্ত অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই।’ অভিনেতা মাসুম আজিজ বলেন, ‘খবরটা শোনার পর যেমন আনন্দ হয়েছে তেমনি কান্নাও পেয়েছে। এই কান্না বিজয়ের।

আমি সারাজীবন নাটক ছাড়া আর কিছু করিনি। তবে তার জন্য কোনো পুরস্কার কখনো চাইনি। রাষ্ট্র নিজে থেকে আমাকে এটা দিচ্ছে, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে! আমি রাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'


প্রয়াত খালেদ খানের মেয়ে জয়িতা খান বলেন, ‘আজ আমার বাবা বেঁচে থাকলে আরো বেশি খুশি হতাম। বাবা মারা যাওয়ার ৮ বছর পর এই পদক মিলল। মাঝখানে অনেকেই পদক পেয়েছেন। আমাদের কাছের অনেকেই বলেছেন, তোমার বাবা কেন পাচ্ছেন না! তবে আমার মনে হয়, বাবা ঠিক সময়েই পদকটি পাচ্ছেন। তার আগে অনেক গুণী অভিনেতারা পুরস্কার পেয়েছেন। সেটা তাদের প্রাপ্য ছিল।'


এ ছাড়াও মৃত্যুর ৩১ বছর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেলেন নজরুল ইসলাম বাবু। সব কটা জানালা খুলে দাও না, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, আমায় গেঁথে দাও না মাগো, দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা, পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই, ডাকে পাখি খোল আঁখি, কাল সারারাত ছিল স্বপ্নের রাত, আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে, কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো- এমন অজস্র শ্রোতাপ্রিয় গান লিখে গেছেন তিনি। এ অবদানের জন্য বাবুকে মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়া হলো এ বছর।


এ ছাড়া এ বছর আরো পুরস্কার পেয়েছেন ভাষা আন্দোলনে দুজন- মোস্তফা এমএ মতিন ও মির্জা তোফাজ্জেল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর), মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য চারজন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউএবিএম রহমান,

আমজাদ আলী খন্দকার, সাংবাদিকতায় এমএ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষয় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশগুপ্ত, সমাজসেবায় এসএম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের,

ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা পুরকায়স্থ, গবেষণায় ড. মো. আব্দুস সাত্তার ম-ল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত, দলনেতা), ড. সাহাজ সুলতানা (দলগত), ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত)।