logo
আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৪৯
দাউদখালী নদী ভাঙন
ঝুঁকিতে রামপালের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্প
কামরুজ্জামান, বাগেরহাট

ঝুঁকিতে রামপালের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্প

বাগেরহাটের রামপালে দাউদখালী নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুটি বাজার, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) নকশা অনুযায়ী না করায় এবং অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ক্ষতির মুখে পড়বে বসবাসকারীরা।

জানা যায়, পলিপড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘোষিয়াখালী ক্যানেল খনন করে সচল করা হয়। ওই ক্যানেলের অন্যতম শাখা নদী দাউদখালী। এ নদী খননের পরে এর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ফয়লাহাটের পূর্বপাশে পারগোবিন্দপুরে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পটির একটি পাকা ঘর নদীতে বিলীন হতে চলছে। বাজারটিও রয়েছে ঝুঁকিতে।

বাজারের পূর্বপাশের চিংড়ি পোনার আড়তের কয়েকটি ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙনে মৎস্য চাতালটিও বিলীন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আড়তের সভাপতি কাজী রাশেদুল ইসলাম ডালিম। হুমকিতে পড়েছে কয়েকটি বসতঘরও। এছাড়াও ঝনঝনিয়া বাজারের দোকানঘর ও চাতালসহ বড় একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পাশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশকিছু জায়গা ইতোমধ্যে নদীতে চলে গেছে। কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরটি নদীতে চলে গেছে অনেক আগেই। দক্ষিণ পাশের সরকারি রাস্তার একটি অংশ নদীতে বিলীন হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়বে । এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন শেখ জানান, ডিপিপির নকশা অনুযায়ী নদী খনন না করায় এবং নদীর মধ্যে আবাসন প্রকল্পসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করায় এটিকে শেষ করে ফেলা হয়েছে। তবুও সমস্যা সমাধানের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।

এবিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি, শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।