ব্রিটেনের রানিই হতে যাচ্ছেন বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছেলে প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার। চার্লস যখন রাজা হবেন, তখনই রানির মর্যাদা পাবেন তার স্ত্রী। রানি এলিজাবেথ তার ক্ষমতা গ্রহণের প্ল্যাটিনাম জুবিলির ঐতিহাসিক ভাষণে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রিন্স চার্লসের প্রথম স্ত্রী ডায়ানা মারা যাওয়ার পর তার সঙ্গে ২০০৫ সালে বিয়ে হয় ক্যামিলা পার্কারের। তবে প্রিন্সেস ডায়ানা দেশটির ভবিষ্যত রানি হিসেবে জনগণের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
তার মৃত্যুতে বিষয়টি স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং ক্যামিলাকে পরবর্তী রানি হিসেবে সবাই মেনে নিতে পারবে কিনা- তা নিয়ে কিছুটা দোলাচল ছিল রাজপরিবারেই।
এ জন্যই ডায়ানার ‘প্রিন্সেস অব ওয়েল্স’ উপাধিও গ্রহণ করেননি ক্যামিলা। তিনি এখন পরিচিত ‘ডাচেস অব কর্ণওয়াল’ হিসেবে।
তবে শেষ পর্যন্ত ক্যামিলা যে ব্রিটেনের রানিই হচ্ছেন- তা স্পষ্ট করলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজেই।
সিংহাসনে আরোহণের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে ৯৫ বছরের রানি এলিজাবেথ দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই সব ধরনের সমর্থনের জন্য। আমি আপনাদের আনুগত্য ও নিরন্তর ভালোবাসার জন্য আন্তরিকভাবেই কৃতজ্ঞ ও বিনয়াবনত।’
রানি এলিজাবেথ আরো বলেন, ‘সময়ের আবর্তনে আমার ছেলে প্রিন্স চার্লস যখন রাজা হবেন, তখন আপনারা তাকে এবং তার স্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থন দেবেন বলে আশা রাখছি। আমার আন্তরিক ইচ্ছা, যখন সময় হবে, ক্যামিলা রাজবধূ বা রানী (কুইন কনসোর্ট) হিসেবে পরিচিত হবেন।’
রানি এলিজাবেথের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ক্যামিলা পার্কারের রানি হওয়ার পথ উন্মুক্ত হলো। ধারণা করা হচ্ছে, এ নিয়ে ছেলে চার্লস এবং নাতি উইলিয়ামের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়েছেন রানি এলিজাবেথ।
প্রসঙ্গত, এলিজাবেথ তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন।