অসময়ের বৃষ্টিতে জয়পুরহাটে ইটভাটাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৪৫টি ইটভাটার প্রায় পাঁচ কোটি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত আড়াই কোটি টাকা।
গত শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে টানা দুপুর ২টা পর্যন্ত বৃষ্টিতে ইটভাটার এ ক্ষতি হয়েছে বলে ভাটা মালিকরা জানিয়েছেন। ওই দিন ১১ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.২৬ মিলিমিটার।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় এবং রোদ না থাকায় জেলার ভাটা মালিকরা ভাটার ইট শুকাতে পারেননি। তার ওপর হঠাৎ করে শুক্রবারের বৃষ্টিতে কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। টানা ১৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভাটায় তৈরি থাকা কাঁচা ইটের স্ট্যাক (আকার) পানিতে ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই ইটগুলো আর আগুনে পোড়ার কোনো সুযোগ নেই।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল চকশ্যাম এলাকার রুবি ব্রিকস এবং পুরানাপৈল রেলঘুন্টির মোড়ে রিলায়েন্স ব্রিকস, মেসার্স উজ্জ্বল ব্রিকসে গিয়ে দেখা গেছে, স্তরে স্তরে সাজানো কাঁচা ইট বৃষ্টিতে ভিজে ভেঙে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। হঠাৎ শুক্রবার ভোরে মাঝারি বৃষ্টিপাতে কাঁচা ইটগুলো নষ্ট হয়েছে।
উজ্জ্বল ব্রিকস ভাটার মালিক এবং জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সহসভাপতি আবু রায়হান প্রধান বলেন, ‘অসময়ের এমন বৃষ্টিতে জেলার ৪৫টি ইটভাটার কাঁচা ইটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে ভেজা কিছু ইট ভাটার আগুনে পোড়ানো হলেও ওই সব ইটে বৃষ্টির পানির দাগ (রেইন স্পট) থাকলে তা ক্রেতারা কিনতে চান না। কিনলেও দাম খুব কম দিতে চায়। ফলে লোকসান গুনতে হয়।’
জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন লেবু বলেন, ‘অসময়ের বৃষ্টিতে জেলার সবগুলো ইটভাটার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৪৫টি ইটভাটার কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ কোটি ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাদের দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।