logo
আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:০৯
এবার সামরিক সরঞ্জাম-প্রযুক্তি রপ্তানিতে নজর সৌদির
অনলাইন ডেস্ক

এবার সামরিক সরঞ্জাম-প্রযুক্তি রপ্তানিতে নজর সৌদির

সৌদি আরবের এক সেনাসদস্য

উপসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত দেশটি হচ্ছে সৌদি আরব। সামরিক শক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বে সৌদি আরবের অবস্থান ২০তম।

ফোর্বসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তালিকার এক নম্বরের অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। তেলসমৃদ্ধ সৌদি এতোদিন বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-সামরিক সরঞ্জাম কিনলেও এবার তারা নজর দিচ্ছে সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি রপ্তানিতে।

সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর মোট সদস্য ২ লাখ ২৭ হাজার। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্য ৭৫ হাজার, বিমান বাহিনীর ২০ হাজার এবং নৌবাহিনীর সাড়ে ১৩ হাজার। ১৬ হাজার সদস্য দেশটির বিমান প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত। কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র তত্ত্বাবধানে রয়েছে আড়াই হাজার সেনা এবং বাকি এক লাখ ‘ন্যাশনাল গার্ড’ সদস্য। এর বাইরেও রয়েছে প্যারামিলিটারি বাহিনীর সাড়ে ২৪ হাজার সদস্য।

সৌদির সেনাবহরে ৬০০ ট্যাংক, ৭৮০টি আর্মর্ড যান এবং ১৪২৩টি গাড়ি রয়েছে। বিমান বাহিনীতে এফ-১৫, এফ-১৬ ইউরোফাইটার, টর্নেডো, টাইফুনসহ বিভিন্ন ধরনের ৩১৩টি ফাইটার জেট রয়েছে। হেলিকপ্টার রয়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক। ১৬টি প্যাট্রিয়ট, ১৭টি শাহিন, ১৬টি হক এবং ৭৩টি ক্রোটেল/শাহিন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সৌদি আরবের কাছে।

সাম্প্রতিক দশক ধরেই সৌদি আরবের শাসকরা প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করছে অস্ত্রসহ যুদ্ধের নানা উপকরণ। নিজস্ব উৎপাদনক্ষমতা না থাকলেও আমদানি করে সমৃদ্ধ করছে অস্ত্র ভাণ্ডার। বেশিরভাগ অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে কেনা।

আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজারে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তবে এবার তারা নজর দিচ্ছে সমরাস্ত্র উৎপাদনে। এজন্য সম্প্রতি গঠন করা হয়েছে জেনারেল অথরিটি ফর মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ (জিএএমআই)। 

জিএএমআইর এক অনুষ্ঠানে রবিবার সৌদির বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ বলেন, দেশের সামরিক শিল্প খাত দিনে দিনে বাড়ছে। জিএএমআই গঠনের সময় ২ শতাংশের এ খাত এখন ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আগামী আট বছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, এ খাতের স্থানীয়করণের হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করা। এটা অবশ্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

সূত্র : সৌদি গেজেট ও আরব নিউজ।