logo
আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:৩৯
বীরদের নিয়ে আনন্দে মেতেছে সেনেগাল
ক্রীড়া ডেস্ক

বীরদের নিয়ে আনন্দে মেতেছে সেনেগাল

ডাকারে বিজয়ী বীরদের এভাবে বরণ করে নেয় সেনেগালবাসীরা

ইতিহাস রচনা করেছে সেনেগাল। অবসান হয়েছে ৬০ বছরের অপেক্ষার। প্রথমবারের মতো আফ্রিকার ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। জিতেছে আফ্রিকান নেশনস কাপ। এমন জয়ে দেশবাসী আনন্দে মেতে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। তেরাঙ্গা সিংহদের এমন সাফল্যে তার ব্যতিক্রম হয়নি। নেশনস কাপ জয়ী বীরদের নিয়ে তারা উৎসবে মেতেছে। দেশে ফিরলে তাদের বীরোচিত সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।

বিজয়ী বীরদের স্বাগত জানাতে রাজধানী ডাকারের রাস্তায় লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিল। আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিল তারা। কেউ গাড়ির ছাদে, কেউ বা রাস্তায় নেচে গেয়ে আনন্দে শামিল হয়েছে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বীরদের এমন সাফল্যে শামিল হয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্টও। প্রেসিডেন্ট ম্যাকি শল খেলোয়াড়দের বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার বীরদের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাকি শল বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন।

টুইট বার্তায় তিনি খেলোয়াড়দের স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘কি দূর্দান্ত খেলা। কি চমৎকার একটা দল। দারুণ কাজ করেছ তোমরা। ফুটবলের চমৎকার সময় উপহার দিয়েছ। তোমাদের অভিনন্দন।’

বিজয়ী দলের কোচ অ্যালিউ সিজে যখন বাসের ছাদের ওপরে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উঁচু করে ধরেন তখন আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের আনন্দ উৎসবের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল, বিবিসি’র সংবাদদাতাও অবাক হয়েছেন। এক মন্তব্যে তিনি জানিয়েছেন, এটা উম্মুক্ত আনন্দ উৎসব। আমার মনে হয়ে সেনেগালের নাগরিকরা কখনও এমন উৎসব দেখেনি।

খেলোয়াড়দের বহনকারী বাসের মধ্যে ছিল খেলোয়াড়রা। আর কোচ সিজে ট্রফি নিয়ে বাসের ছাদে ছিলেন। এমন দৃশ্য দেখে সেনেগালের তরুণরা অবাক। ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী দিয়া এমবায়ে বলেন, অবিষ্মরণীয় মূহুর্ত। এমন স্মৃতি সারা জীবন মনে থাকবে। জাতীয় দলের পতাকা ছিল তার মাথায় জড়ানো। এএফপিকে তিনি আরও বলেন, ‘যোগ্য দল হিসেবেই আমরা শিরোপা জিতেছি। আমরা এটার জন্য ৬০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি।’

রোববার রাতে খেলার শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে ডাকারে উৎসব শুরু হয়। মিসরের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে টাইব্রেকারে লিভারপুলে খেলা সাদিও মানে দলের হয়ে পঞ্চম শট নেওয়ার সঙ্গে তারা উৎসব শুরু করে দেয়। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। শুরু হয়ে যায় আতশ বাঁজি পোড়ানো। আতশ বাজির ঝলকানিতে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের এ আনন্দকে আরও বেশি খুশিতে ভরিয়ে দেয় সরকারি ঘোষণা। পরের দিন ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি।

২৫ বছর বয়সী মোদোউ বা বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই এ শিরোপার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে আমরা তা অর্জন করেছি। সত্যিকারভাবেই এটা আমাদের দরকার ছিল।
শুধু সেনেগালে নয়, আনন্দ উৎসব হয়েছে ফ্রান্সেও। সেখানকার রাজধানীতে বসবাসকারী সেনেগালের সম্প্রদায় উৎসবে মেতেছিল।

আফ্রিকান নেশসন কাপে সেনেগালের সাফল্য তেমন একটা সমৃদ্ধ নয়। বেশিরভাগ সময় তারা প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে এর আগে দুইবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপার দেখা পায়নি। গত আসরেও তারা ফাইনালে উঠেছিল। এবার ফেভারিট হিসেবে শুরু করে সাফল্য নিয়েই তারা ফিরেছে।