logo
আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:০১
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
দেশে ফেরেনি আফগানিস্তানের চারজন
ক্রীড়া ডেস্ক

দেশে ফেরেনি আফগানিস্তানের চারজন

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের কাছে নূন্যতম ব্যবধানে হেরে তারা ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। একইভাবে ব্যর্থ হয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে টুর্নামেন্টে ১৬ দলের মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

টুর্নামেন্ট শেষ। এবার বাড়ি ফেরার পালা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল। দলের অন্যরা দেশে ফিরলেও একজন ক্রিকেটারসহ চারজন এখন ফেরেনি। তারা এখনও যুক্তরাজ্যে রয়ে গেছে। তাদের ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাবে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

দেশে না ফেরা চারজন যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবে কিনা সে বিষয়টিও এখনও পরিস্কার নয়। টুর্নামেন্ট শেষে অ্যান্টিগা থেকে রওয়ানা করে রোববার সকালে তারা হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে আরব আমিরাত হয়ে তাদের কাবুল যাওয়ার কথা। সে অনুযাযী সোমবার সকালে দলের বেশির ভাগ সদস্য কাবুলে পৌঁছেছে। কিন্তু তাদের চার সদস্য হিথ্রো বিমানবন্দরে রয়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী ট্রানজিট ভিসাতে কোনো ব্যক্তি ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় সে দেশে অবস্থান করতে পারবে। মঙ্গলবার সকালেই তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।

এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রাইস আহমাদজাই। তিনি বিশ্বকাপে কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, যারা এখনও দেশে ফেরেনি তারা আবার চিন্তা ভাবনা করবে এবং দেশে ফিরে আসবে। তাদের কাছে আমি ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিলাম। তারা বার্তাগুলো দেখেছে কিন্তু এখনও কিছুই জানায়নি। আমি তাদেরকে বলেছি, তাদেরকে আফগানিস্তানের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্বকাপে তোমার অসাধারণ কিছু করে দেখিয়েছো। যখন তুমি দেশের জন্য কিছু একটা করো তার অর্থ হচ্ছে দেশকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই তোমার রয়েছে।’

তালিবানরা আফগানিস্তানের শাসনভার নেওয়ার পর সাবেক একজন প্রেসিডেন্টসহ এক লাখেরও বেশি আফগান দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের মধ্যে শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও তারকারা রয়েছেন।

কোচ রাইস আহমাদজাই আরও বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি এটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। তাদের যে এমন পরিকল্পনা ছিল তা আমি বুঝতে পারিনি। তবে আমার বিশ্বাস তারা ফিরে আসবে এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে কাজ করবে। তবে তারা যদি না ফেরে তাহলে আমাদের ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের অনুপস্থিতি আমাদের ক্রিকেটের কোনো ক্ষতি হবে না।’