logo
আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:০২
হিমালয়ের চেয়েও বড় পর্বতমালা ছিল পৃথিবীতে
অনলাইন ডেস্ক

হিমালয়ের চেয়েও বড় পর্বতমালা ছিল পৃথিবীতে

হিমালয়ের চেয়ে বড় পর্বতমালার অস্তিত্ব ছিল আমাদের এই পৃথিবীতে

হিমালয় পর্বতমালার চেয়েও অন্তত তিনগুণ বড় পর্বতমালা ছিল পৃথিবীতে। একাধিক মহাদেশজুড়ে বিস্তৃত এই পর্বতমালা ছিল ৮ হাজার কিলোমিটার (৪৫০০ মাইল) এলাকাজুড়ে। আর বর্তমানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় রয়েছে ২৪০০ কিলোমিটার জুড়ে। তাই প্রাগৈতিহাসিক ওই পর্বতমালাকে ‘সুপারমাউন্টেনস’ বা মহাপবর্তমালা বলছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংক্রান্ত জার্নাল ‘আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি লেটারস -এ এই ‘মহাপর্বতমালা’ নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। 

হিমালয় পর্বতমালায় চেয়েও বিস্তৃত পর্বতমালা যে একদিন এই পৃথিবীতে ছিল, তার প্রমাণ পেলেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ব গবেষকরা।

গবেষণাপত্রের লেখক জিই ঝু বলেন, প্রাচীন পর্বতমালা আর আস্ত নেই। কেবল উচ্চতাই নয়, হিমালয়ের থেকেও তিন কি চারগুণ বিস্তৃত ছিল এই পর্বতমালা। 

গবেষকরা বলছেন, পৃথিবী নামের এই গ্রহটি গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই মহাপর্বতমালা। কারণ, পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাসে দুটি পর্বে এই পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল। প্রথমবার গঠিত হয়েছিল ২০০ কোটি থেকে ১৮০ কোটি বছর আগে। একে বলা হয় নুনা সুপারমাউন্টেন এবং দ্বিতীয়বার এই পর্বতশ্রেণির গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয় ৬৫ থেকে ৫০ কোটি বছর আগে। একে বলা হয় ট্রান্সগন্ডোয়ানান সুপারমাউন্টেন।

ধারণা করা হয়, মহাপর্বতমালার এই দুবার গঠিত হওয়ার সঙ্গে পৃথিবীর বির্বতনের ইতিহাস যুক্ত।

'আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটার্স' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, এই সুউচ্চ পর্বতমালার শেকড়ে বেশ কিছু বিরল খনিজ উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা, যা সাধারণত অতি তীব্র চাপে তৈরি হয়। এই থেকেই তারা মনে করছেন, ‘মহাপর্বতের’ উত্থানের সঙ্গে পৃথিবীর বির্বতন যুক্ত রয়েছে।

আবার জীবের বিবর্তনের ক্ষেত্রেও এই ‘মহাপর্বতমালা’র ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ। কারণ, পর্বতগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমুদ্রে ফসফরাস ও লোহার মতো প্রয়োজনীয় পদার্থ যুক্ত হয়েছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়েছে। যার ফলে জীব ও উদ্ভিদ জগতের টিকে থাকা এবং বিবর্তন সম্ভব হয়েছে।

সূত্র: নিউজউইক ও স্পেস ডটকম।