logo
আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:১৭
আট মাসেও সংস্কার হয়নি দেবীগঞ্জের দুই সেতু
নুর হাসান, পঞ্চগড়

আট মাসেও সংস্কার হয়নি দেবীগঞ্জের দুই সেতু

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালিদহ মরা খাল। এই খালের নাব্যতা ফেরাতে করা হয় খনন। তবে অপরিকল্পিত খননের ফলে পানির চাপে দুটি সেতুর নিচের মাটি ধসে যায়। এ ধসের দীর্ঘ আট মাস পার হলেও সেতু দুটির কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, আট মাস আগে পানির চাপে দুটি সেতুর নিচের মাটি ধসে যায়। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা চলাচলের জন্য ধসে যাওয়া জায়গায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন; যা দিয়ে এখনো চলছেন তারা। পানির চাপে কৃষিজমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন শত শত কৃষক। হুমকির মুখে রয়েছে অনেকের বসতবাড়ি।

জানা গেছে, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের অমরখানা এলাকায় এবং বেলুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়ায় কালিদহ খালের ওপর দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি এবং এলজিইডি একটি সেতু নির্মাণ করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০২১-২২ অর্থবছরে অপরিকল্পিতভাবে খাল পুনর্খননের ফলে সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে দুটি সেতুই ধসে পড়েছে। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে সেতু দুটির মাটি ধসে পড়ায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক আক্কাস আলী। তিনি বলেন, ‘খাল খননের ফলে বর্ষায় আমার পাঁচ বিঘা কৃষিজমি ধসে গেছে। খননের সময় ভেকুচালককে বারবার নিষেধ করেছি সেতুর ধারে না কাটতে, কিন্তু তারা শোনেনি। উল্টো আমাকেই আবার মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়েছে।’

মজিবুল নামে আরেক কৃষক বলেন, ‘সেতুর মাটি ধসে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদিত ফসল পরিবহণের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই খাল পুনর্খননে অনেক কৃষিজমি ধসে গেছে।’

টেপ্রীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কালিদহ খাল অপরিকল্পতিভাবে খনন করেছে। অপরিকল্পিত খননের ফলে সেতু দুটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে এগুলোয় ফাটল দেখা গেছে।’

দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন বলেন, ‘সেতু দুটির ধার থেকে মাটি খনন ও ভারী বৃষ্টির ফলে সেতুটি ভেঙে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

পঞ্চগড়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুজ্জামান দাবি করেন, ‘কালিদহ খাল পুনর্খননে সেতুর কোনো ক্ষতি হয়নি।’