দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। একই সঙ্গে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলারে।
২০২০-২১ অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসেবে জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়ের এই হিসাব পাওয়া গেছে বলে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা হয়। শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। তিনি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬.৯৪ ভাগ, যা সাময়িক হিসাবে ছিল শতকরা ৫.৪৩ ভাগ।
চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী একই বছরের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা বা ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৯ টাকা বা ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিবেচনায় কৃষি খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে চূড়ান্ত হিসাবে শতকরা ৩.১৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ২.৩৭ ভাগ।
চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে শস্য উপখাতে শতকরা ২.২৯ ভাগ, পশুপালন উপখাতে শতকরা ২.৯৪ ভাগ, বন উপখাতে শতকরা ৪.৯৪ ভাগ এবং মৎস্য খাতে শতকরা ৪.১১ ভাগ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে এম এ মান্নান জানান, চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ১১.৫৯% প্রাক্কলন করা হয়েছে।
বছর শেষে বিদ্যুৎ খাতে ১১.৬৫% এবং নির্মাণ খাতে ৮.০৮% প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী শিল্প খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০.২৯ ভাগ, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫.৯৯ ভাগ।
সেবা খাতের তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৭.৬৪%, যানবাহন খাতে ৪.০৪%, ব্যাংক ও বীমা খাতে ৫.৮২%, শিক্ষা খাতে ৫.৮১% ও স্বাস্থ্য খাতে ১০.৬০% প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী সেবা খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫.৭৩ ভাগ, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫.৮৬ ভাগ।