logo
আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৮
দক্ষিণ সুদানের সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রস্তাব
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

দক্ষিণ সুদানের সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রস্তাব

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ঢাকা সফররত দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেংয়ের বৈঠক। ছবি- ভোরের আকাশ

পিস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে দক্ষিণ সুদানের সামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সফররত দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রাতে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ও সুদান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন উভয় মন্ত্রী।

দক্ষিণ সুদানের সামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ছাড়াও কৃষি, মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনের জন্য দক্ষিণ সুদানের প্রতি প্রস্তাব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এতে উভয় দেশ লাভবান হবে।

তিনি বলেন, যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ সুদান বাংলাদেশ থেকে জাহাজ ও বার্জ তৈরি করে নিতে পারে।

ড. মোমেন কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসা ছাড়ের চুক্তি সম্পাদন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষা, উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয়েও আলোচনার পরামর্শ দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তির খসড়া তৈরি করে দক্ষিণ সুদানের বিবেচনার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী, সচিব, বাণিজ্য ও শিল্প এবং অন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণ সুদানে অবকাঠামো নির্মাণ ও পূনর্বাসন এলাকা তৈরি ছাড়াও সেখানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিনিধিদল।

বৈঠকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইটি এবং আইসিটি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ সহযোগিতার পরিধির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে উভয় দেশ।

দক্ষিণ সুদানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে মূল্যবান ভূমিকা পালন করছে। উভয় পক্ষ সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে ড্রেজিং ও নদী ব্যবস্থাপনা চিহ্নিত করেছে।

ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনেরর মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে দক্ষিণ সুদানের পক্ষ থেকে সমর্থন জোরদারের অনুরোধ জানান।