কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত টাকা না দিলে মেলে না জন্মনিবন্ধন সনদ।
তবে সরকারি নিয়মানুযায়ী শিশুর জন্মের ৪৫ দিন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। এ ছাড়াও শিশুর জন্মের পাঁচ বছরের নিচে ২৫ টাকা এবং এর ওপরে ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের এই নিয়ম মানা হচ্ছে না উপজেলার ১নং রাজিবপুর সদর ইউনিয়নে।
জন্মনিবন্ধন নিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেই নতুন নিয়ম করেছেন। সে নিয়ম অনুযায়ী প্রতি জন্মনিবন্ধনে ১২০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন তিনি।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তখন দেখা যায়, জন্মনিবন্ধন করতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এবং রসিদ দেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকার। এতে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সোহেল রানা নামে একজন বলেন, ‘আমি ছয়টা নিবন্ধন করতে গিয়েছিলাম। প্রত্যেক নিবন্ধনের জন্য ১২০ টাকা করে ৭২০ টাকা নেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষার্থী মনির বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদে আমি আমার বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন করতে গিয়েছিলাম। আমার কাছ থেকে নিবন্ধনপ্রতি ২০০ টাকা করে ৪০০ টাকা নেওয়া হয়। কেন জনপ্রতি ৫০ টাকার বেশি নেওয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্ন করলে তারা খারাপ ব্যবহার করে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে কোনো বেতন দেওয়া হয় না। আমরা দুইজন এখানে কাজ করি। তাই সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়, তবে তা খুবই কম।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সেন্টারের সচিব নুরনবী বলেন, ‘বাড়তি টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্তী বলেন, ‘জি, বিষয়টি আমরা জানি। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে আমি বিষয়টি বলেছি। তিনি এ বিষয়টি দেখবেন। এ ছাড়া আমাকে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’