ইতালি থেকে সাত বাংলাদেশির মরদেহ বাংলাদেশে আসবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে। কয়েক ধাপে মরদেহগুলো ঢাকায় এসে পৌঁছবে।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক ভোরের আকাশকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, একজন নাগরিকের মরদেহ নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি ১০ ফেব্রুয়ারি রোম ত্যাগ করবে এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে। আরো একজনের মরদেহ নিয়ে দ্বিতীয় ফ্লাইটটি ১১ ফেব্রুয়ারি রোম ত্যাগ করবে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে।
রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, তাদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। মরদেহগুলো সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকায় অবস্থিত মর্গে রাখা আছে। লাশ ফেরত পাঠানো বা দাফন সম্পাদনের পূর্ব পর্যন্ত মর্গে রাখা হবে।
ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির পরিচয় এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
তারা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন ও জয় তালুকদার ওরফে রতন। একই উপজেলার ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত ও মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল। এছাড়া মাদারীপুর সদর উপজেলার বাপ্পী নামের এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেলেও তার গ্রামের তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার সাইফুল নামের এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেলেও তার গ্রামের তথ্য পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারকারী ও ল্যাম্পেডুসায় পৌঁছা অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে দূতাবাস কর্মকর্তারা তাদের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
গত ২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় এই সাত বাংলাদেশি মারা যান।
ইতালির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের শনাক্তকরার কোনো নথিও না থাকায় শনাক্তকরণে প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দেয়।
উদ্ধারকারী ও ল্যাম্পেডুসায় পৌঁছা অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে দূতাবাস কর্মকর্তারা তাদের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
তাদের মৃত্যুতে ইতালির রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।