logo
আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:০৮
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর
সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ ও জাপানের
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ ও জাপানের

বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পৃথক শুভেচ্ছা ভিডিও বার্তায় এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জাপান ও এর জনগণের মূল্যবান সমর্থন ও অবদানের জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপানে ঐতিহাসিক সফরের কথা তুলে ধরেন, যা দুই দেশের মধ্যে একটি অটল ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যা অদূর ভবিষ্যতে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’উন্নীত হতে চলেছে। তিনি জাপানের টেকসই অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমর্থনের কথা স্বীকার করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে বিগত পঞ্চাশ বছরের ঈর্ষণীয় সহযোগিতা পারস্পরিক লাভজনক লাভের জন্য আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার বার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে জাপানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে শক্ত ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ উপলক্ষে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বক্তব্যে রাখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মুক্তিযুদ্ধে জাপান সরকার ও জনগণের দেওয়া নৈতিক ও বৈশ্বিক সমর্থনকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি দুই দেশের মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে শক্তিশালী বহুমুখী সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা বর্ণাঢ্য নৃত্য পরিবেশন করে।