PCOS বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম একটি হরমোনজনিত ব্যাধি। সাধারণত হাইপার এনড্রোজেনিজমের কারণে PCOSএর লক্ষণগুলো দেখা দেয়। PCOS-এর মতো সামান্য কারণে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনটা হয়ে উঠতে পারে দূর্বিষহ।
সম্পূর্ণ মুখে পুরুষের মতো দাড়ি-গোফ, হাতে পায়ে ঘন কালো পশম, মুখ ভরা ব্রন, অতিরিক্ত ওজন, অনিয়ন্ত্রিত আবেগী আচরণ সেই সাথে অনিয়মিত মাসিক এবং অনেক চেষ্টার পরও কনসিভ করতে না পারা একটা দাম্পত্য সম্পর্ককে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। শুধু বিবাহিত নারীরা নয়, অনেক অল্প বয়সি কিশোরী-তরুণীরা ভুগছে PCOS।
পিসিওসে আক্রান্ত মেয়েদের সব লক্ষণই থাকবে তা নয়। ব্যক্তিভেদে প্রতিটি লক্ষণই হালকা থেকে গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।
১. অনিয়মিত পিরিয়ড বা পিরিয়ড কম হতে পারে
২. গর্ভধারণে সমস্যা (অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটিন বা ডিম্বস্ফোটন না হওয়ার কারণে)
৩. ওজন বৃদ্ধি
৪. হিরসুটিজম/অত্যধিক চুলের বৃদ্ধি সাধারণত মুখ, চিবুক, বুক, পিঠ ও নিতম্বের ওপর
৫. ব্রন- মুখ, বুক ও পিঠের উপরে ব্রন ওঠে
৬. মাথা থেকে চুল পাতলা হয়ে যায়/পুরুষের গঠনে টাক দেখা যায়
৭. ডিপ্রেশন/হতাশা/উদ্বেগ।
PCOS-এর চিকিৎসা দেওয়া হয় ৩টি ধাপে:
★ হরমোন নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে
★ লেজারের মাধ্যমে হেয়ার রিমুভ করে
★ ত্বক ও চুলের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে
* ওভুলেশন সাইকেলটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বার্থ-কন্ট্রোল পিল বা সিন্থেটিক ইস্ট্রোজেন- প্রোজেস্টেরন মেটফরমিন, স্পাইরোনোলেক্টন- এই তিনটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহারের মাধ্যমে।
* নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা বা ইয়োগা করার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে হরমোনের ইমব্যালেন্স ঠিক করা যায়।
* অবাঞ্ছিত পশমগুলো লেজার করার মাধ্যমে দূর করা যায়। এক্ষেত্রে ৬-৮টি লেজার সেশন লাগতে পারে। পশমের পরিমাণ ও ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে লেজারের সেশন সংখ্যা।
* ব্রনের জন্য ওষুধ এবং কেমিক্যাল পিলিং, চুল পরা রোধে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস এবং হেয়ার পিআরপি করা যায়।
লেখক: চর্ম ও যৌন রোগ চিকিৎসক