logo
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:১৫
মহামারি তহবিল নিয়ে কথা রাখছে না কেউ
অনলাইন ডেস্ক

মহামারি তহবিল নিয়ে কথা রাখছে না কেউ

সমহারে করোনার টিকা পাচ্ছে না ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মানুষ। ফাইল ছবি

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড মোকাবেলায় তহবিল নিয়ে কথা রাখছে না ধনী দেশগুলো। গরীব দেশগুলোতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা, রোগের  চিকিৎসা ও টিকার ব্যবস্থা করতে কোভ্যাক্স উদ্যোগের জন্য যে তহবিল পাওয়ার আশ্বাস ছিল, তার পাওয়া গেছে মাত্র ৫ শতাংশ। এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

তহবিল ঘাটতি নিয়ে কোভ্যাক্স কর্মসূচির সমন্বয়ক ও ডব্লিউএইচওর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রুস আলিওয়ার্ড বলেছেন, ‘তহবিল জোগাড়ের অভাবে কর্মসূচি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বৈশ্বিক কর্মসূচিটি যেন হাওয়ার ওপর চলছে।’

বিশ্বব্যাপী মানুষ যাতে করোনার টিকার অধিকার থেকে বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার না হয়, সেজন্য নেওয়া হয়েছিল কোভ্যাক্স উদ্যোগ। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দ্য অ্যাকসেস টু কোভিড-১৯ টুলস (এসিটি) একসেলেটর কর্মসূচির অধীনে চলতি বছর দরিদ্র দেশগুলোতে সহায়তা পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

লক্ষ্য পূরণে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য ২৩৪০ কোটি ডলারের বাজেট করা হয়। এর মধ্যে ১৬৪০ কোটি ডলার ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আশা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।

এ নিয়ে ডব্লিউএইচওর শুভেচ্ছা দূত ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চাহিদার মাত্র ৫ শতাংশ তহবিল পাওয়া গেছে। এখনই বিশ্বের তথা ধনীদেশগুলোর বিবেক জাগ্রত হওয়ার সময়।’

মহামারির শুরু থেকেই কর্মসূচিতে তহবিলের সংকট চলছে। আগের বাজেটে ঘাটতি ছিল ১৪৫০ কোটি ডলার। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে ২০০ কোটি ডোজ টিকা পাঠানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, তা পূরণেও অনেক পিছিয়ে পড়েছে এটিসি-এক্সিলারেটর কর্মসূচি।

গত বছর দরিদ্র দেশগুলোতে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছে, অথচ ধনী দেশগুলোতে এ হার ৬৪ শতাংশ।

তাই দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জন্য এ কর্মসূচির আওতায় ‘ন্যায্য হিস্যা’ নিশ্চিত করতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান গর্ডন ব্রাউন।

সূত্র: রয়টার্স