logo
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:২১
কারা অধিদপ্তর
বন্দিদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্দিদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে
নতুন নির্দেশনা জারি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার। ফাইল ছবি

দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বন্দিদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কারা অধিদপ্তর। কারাগারের ভেতরে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাইরে থেকে যেন করোনা কারাগারে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য বন্দিদের পরিবারের খাবার কারাগারে প্রবেশ না করানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন করে প্রবেশ করা বন্দিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেন।


আদেশে বলা হয়েছে, বন্দিদের বাইরে থেকে সব ধরনের খাবার দেওয়া বন্ধ থাকবে। তাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন খাবার নিয়ে এলে বিনয়ের সঙ্গে বুঝিয়ে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কারাগারে অসুস্থ বন্দিদের অন্তত ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এক বন্দি থেকে অন্যদের দূরত্ব অন্তত ১ মিটার বা ৩ ফুট অথবা সম্ভব হলে ২ মিটার বা ৬ ফুট হবে। সম্প্রতি কারাগারে আসা বন্দিদের ১৪ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তাদের কোয়ারেন্টাইন থেকে বের করে উন্মুক্ত স্থানে নেওয়া যাবে না।


অধিদপ্তর জানায়, দেশের সব কারাগার বিভাগীয় দপ্তর ও কারা অধিদপ্তর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেকসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে দাপ্তরিক কার্যক্রম ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন। এছাড়া অফিসে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা নেওয়ার সনদ থাকতে হবে, সনদ থাকলেও বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।


অধিদপ্তরের জারি করা আদেশে আরো বলা হয়, কারাগারের ভেতরে বন্দি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে কোলাকুলি ও করমর্দন পরিহার করতে হবে। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে। কোনো দর্শনার্থী যেন কারা এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারা ফটকে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা (ইনফ্রারেড/ থার্মোমিটার) গ্রহণ করতে হবে। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ পৃথক করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


চলতি বছরের জানুয়ারিতে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় করোনার প্রকোপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবারের দেওয়া বুলেটিনে জানা গেছে, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৭০ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৪ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনে। শনাক্তের হার ২০.০৩ শতাংশ।