logo
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:২৩
হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

হাজি মো. সেলিম। ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রকাশিত হয়েছে।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গত ৯ মার্চ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় প্রদানকারী বিচারকদের স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে রায়টি বুধবার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) প্রকাশ করা হয়েছে।

রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজি মো. সেলিমকে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আর আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে রায়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া মামলায় হাজি সেলিমের জব্দ কৃত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয় রায়ে। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এই মামলায় বিচারিক আদালতের ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাজি সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলায় বিচারিক আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। পরে হাইকোর্ট সে সাজা থেকে তাকে খালাস দেন। কিন্তু আপিল বিভাগের নির্দেশে হাইকোর্টে মামলাটির ফের শুনানি হয়।

আদালতে হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজি সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক।

সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।