logo
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:৩৬
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত ম্যানসিটি
ক্রীড়া ডেস্ক

টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত ম্যানসিটি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাতে নিজেদের মাঠের খেলায় তারা ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। এ জয় একদিকে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থানকে সুসংহত করেছে তেমনি শিরোপার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে।

মূলত এবারের লিগ শিরোপা ম্যানচেস্টার সিটি নিজেদের হাতে দেখতে পাচ্ছে। ম্যানসিটি যদি নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল না মারে তাহলে তাদের হাতে এবারের লিগ শিরোপা শোভা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পেপ গার্দিওলার দল এরই মধ্যে নিকটবর্তী দল লিভারপুল থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে।

পয়েন্টের এই পার্থক্য লিভারপুলকে হতাশ করতে পারে। আবার ম্যাচের সংখ্যার দিকে তাকালে তারা কিছুটা আশাবাদীও হতে পারে। কেননা ম্যানসিটি ২৪ ম্যাচ থেকে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে লিভারপুলের সংগ্রহে ৪৮ পয়েন্ট জমা হলেও তারা খেলেছে ২২ ম্যাচ। ফলে দুই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট পেলে তারা ম্যানসিটির শিবিরে কিছুটা উদ্বেগ ছড়িয়ে দিতে পারবে।

ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যানসিটির জয়ে রিয়াদ মাহরেজ ও কেভিন ডি ব্রুইন গোল করেছেন। মাহরেজ ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। ৬৯ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

ব্রেন্টফোর্ডের ম্যাডস রোয়েরস্লেভ ম্যানসিটির রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করলে রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে মাহরেজ গোল করতে ভুল করেননি। এ গোলের মাধ্যমে আলজেরিয়ান এ স্ট্রাইকার টানা সাত ম্যাচে গোল করার কীর্তি দেখালেন। ৬৯ মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের শট ব্রেন্টফোর্ডের গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা দুই হাতে মাথা চেপে ধরেছিলেন। কিন্তু তা মাত্র মূহুর্তের জন্য। কেননা ফিরতি শটে ব্রুইন বল জালে পাঠিয়ে দেন।

ম্যাচে বাকি সময় আর কোনো গোল হয়নি। তবে এ ম্যানসিটি ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ যে পায়নি তা নয়। একাধিক সুযোগ তারা তৈরি করেছিল।

এ ম্যাচে জয়ের মাঝ দিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো গার্দিওলার দল। অন্যদিকে এ হার ব্রেন্টফোর্ডকে রেলিগেশনের ফাঁদের শঙ্কা জোরালো করেছে। টানা পঞ্চম হার এটি তাদের।

ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা ছিল কঠিন এক ম্যাচ। মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগের মধ্যে তারা কোনো শূন্যতা তৈরি করতে দেয়নি। যাহোক সুযোগের জন্য আমাদের ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল।’