logo
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:১৫
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ
ফাইনালে চেলসি
ক্রীড়া ডেস্ক

ফাইনালে চেলসি

রোমেলু লুকাকুর গোল

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন চেলসি আরও একটা শিরোপার দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয় থেকে তারা আর মাত্র এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে। বুধবার রাতে আবুধাবীর মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালকে ১-০ গোলে হারিয়ে তারা ফাইনালে উঠেছে। রোমেলু লুকাকু ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন।

শিরোপা লড়াইয়ে চেলসি শনিবার ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের মুখোমুখি হবে। আগের দিন পালমেইরাস মিসরের আল আহলি ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। ক্লাব বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত চেলসি শিরোপার দেখা পায়নি। ২০১২ সালে তারা ফাইনাল খেলেছিল। সেবার তারা আর এক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়াসের কাছে হেরে রার্নাস আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবারও তাদের সামনে আর এক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব। যদিও ভিন্ন ক্লাব তবে একদিকে প্রতিশোধের সুযোগ, অন্যদিকে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ী হিসেবে নাম লেখানোর হাতছানি।

টমাস টুখেলের সামনে বিশ্বকাপ ক্লাব জয়ের সুযোগটা এনে দিয়েছেন রোমেলু লুকাকু। ৩১ মিনিটে তার গোলেই চেলসি এগিয়ে যায়। সে সঙ্গে জয়ও নিশ্চিত হয়। তবে লুকাকু অনেকটা ভাগ্যের জোরেই গোলটা পেয়েছেন। আবার দুর্ভাগ্য বলা যায় আল হিলাল ক্লাবের। রক্ষণভাগের ভুলে তাদেরকে গোল হজম করতে হয়। বা দিকে থেকে উড়ে আসা বল আল হিলাল ক্লাবের ডিফেন্ডার হেড করে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল চলে যায় পোস্ট থেকে মাত্র ছয়গজ দূরে দাঁড়ানো রোমেলু লুকাকুর সামনে। এত সহজ সুযোগ নষ্ট করেননি লুকাকু। তার আলতো শট জালে আশ্রয় নেয়।

আল হিলালের বিপক্ষে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে চেলসি। কিন্তু তারা ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। শুরু থেকেই চেলসি প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছিল। তাই তো বেশির ভাগ সময় খেলা হয়েছে আল হিলালের অর্ধে। কিন্তু আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা তাদের গোল সংখ্যা বাড়তে দেয়নি। তাছাড়া তাদের সামনে আল হিলাল ক্লাবের গোলরক্ষক আব্দুল্লাহ আল মেউফ চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বিরতির পরপরই চেলসির কাই হাভের্টজের দারুণস একটা চেষ্টা তিনি রুখে দেন।

চেলসির চাপে পিষ্ট হতে থাকলেও আল হিলাল ক্লাব দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে গোল পরিশোধের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। মুসা মারেগা, ওডিওন ইঘালো ও জাং হাইউনের সমম্বয়ের তৈরি সুযোগটি তারা কাজে লাগাতে পারেনি। মারেগা শট চেলসির গোলরক্ষক কেপার পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। আল হিলাল আরও একটা সুযোগ পেয়েছিল। এবারও কেপা তাদের বঞ্চিত করেন। কানোর দূর পাল্লার শট বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনো মতে এক হাতে তিনি রক্ষা করেন।