logo
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৩৭
সাবেক বিচারপতির চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক বিচারপতির চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক


অবসরপ্রাপ্ত সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন এবং তার ছেলে মো. ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে করা মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের মানিলন্ডারিং বিভাগের উপপরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক স্মারক থেকে এই তথ্য জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দুদক এই চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে।


দুদক জানিয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত সাক্ষ্য স্মারক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুদক আইন ২০০৪ এর ৩২ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই চার্জশিট অনুমোদন করা হয়েছে।


দুদক নথিতে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১০ সালে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের নামে অনুসন্ধানের ফাইল খোলে দুদক। বছর তিনেক আগে তার সম্পদের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইনি চিঠি পাঠায় সংস্থাটি কিন্তু দেশটি থেকে তার বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।


এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালে ২৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুইবছর পর এ মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে বিচারপতি জয়নুল আবেদীন তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনকে ২৬ লাখ টাকা ফ্ল্যাট কেনার জন্য দিয়েছেন। যাকে ঘুষ-দুর্নীতির টাকা বলা হয়েছে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে।


এর বাইরে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের ৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। সবমিলে তার ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা অবৈধ সম্পদের তথ্য দেয়া হয়েছে। কমিশনের অনুমোদন হওয়া অভিযোগপত্রে তার সন্তানকেও আসামি করা হয়েছে।


এর আগে সম্পদের হিসাব চেয়ে সাবেক এই বিচারপতিকে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই নোটিশ দেয় দুদক। একই বছরের ২৫ অক্টোবর তাকে আরো একটি নোটিশ দেয় দুদক। পরে ওই বছরের ৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। প্রায় সাতবছর পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার কাছে তার সম্পদের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চায় দুদক। পরে তিনি ব্যাখ্যা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে গতবছর ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু দুদককে তদন্ত না করতে গতবছর ২৮ মার্চ পাল্টা চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের এ চিঠি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গ্রেপ্তার ও হয়রানির আশঙ্কায় তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট এক আদেশে অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং তাকে কেন নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেন। এ রুলের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। আপিল বিভাগ দ্রুত রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।