বিশ্ব ফুটবল র্যাংকিংয়ে বড় ধরণের উন্নতি করেছে সেনেগাল। আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ের মাঝ দিয়ে তারা তাদের উন্নতি অব্যাহত রেখেছে। তেরাঙ্গার সিংহরা বর্তমানে ১৮তম স্থান দখল করেছে। সেনেগালের ফুটবল ইতিহাসে এটাই তাদের সেরা অবস্থান। শুধু তাই নয়, আফ্রিকা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি তারা নিজেদের অঞ্চলে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সেনেগালকে জায়গা করে দিতে আফ্রিকা অঞ্চলের শীর্ষস্থানটি ছেড়ে দিতে হয়েছে মিসরকে।
এদিকে মূল র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে নতুনভাবে কেউ ঢুকতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবে শীর্ষ দশ থেকে কেউ ছিটকে যায়নি। তবে শীর্ষ পাঁচে স্থান পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টানা দুই জয়ে নিজেদের অবস্থান আগের থেকে এক ধাপ উপরে নিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। পাঁচ থেকে চারে এসেছে তারা। আর্জেন্টিনাকে জায়গা দিতে এক ধাপ নিচে নেমেছে ইংল্যান্ড। তবে বেলজিয়াম ঠিকই তাদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। তাদের পরেই আছে যথাক্রমে পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তারপরেই ফ্রান্স।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে যথাক্রমে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে ব্রাজিল। ১৮২৮ পয়েন্ট তাদের। ১৭৮৬ পয়েন্ট নিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা তাদের অনুসরণ করে চলেছে। র্যাংকিংয়ের সেরা পাঁচ দলের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের এ দুটো দেশ রয়েছে। শীর্ষ পাঁচ দলের অন্য তিনটি দল বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট যথাক্রমে ১৮২৮, ১৭৮৬ ও ১৭৫৫।
তবে এবারের র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে উন্নতি করেছে গাম্বিয়া। আফ্রিকান নেশনস কাপে খুব বেশি ভালো করেনি তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার মাঝ দিয়ে তারা ২৫ ধাপ উপরে উঠে এসেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান ১২৫তম স্থানে। উন্নতি করেছে গিনি। তারাও নেশনস কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে।
এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে ইরান নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশটির র্যাংকিং ২১। আর তারপরেই রয়েছে। তাদের অবস্থান ২৬তম স্থানে। এশিয়া অঞ্চলের প্রায় তলানিতে বাংলাদেশ। ১৮৬তম স্থানে তারা। ভুটানের অবস্থান ১৮৫তম স্থানে। বাংলাদেশকে স্বস্তি দিয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ১৯৭ ও ২০৪তম স্থানে রয়েছে। নেপাল ১৬৭তম স্থানে। আর মালদ্বীপ ১৫৭তম অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে নেতৃত্বে থাকা ভারত শীর্ষ ১০০ দেশে ঢুকে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তারা রয়েছে ১০৪ তম স্থানে।