বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে আগ্রহী ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ঢাকার সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য উন্মুখ তিনি।

দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশে আসার আগে গত শুক্রবারওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন পিটার হাস। তাকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় উভয় দেশের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মতবিনিময়কালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য উভয় পক্ষকে আরো সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন।

এর আগে রাষ্ট্রদূত হাস দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেন। ডি হাসের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে দেশটির সিনেট। আগামী মার্চে আর্ল আর রবার্ট মিলারের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে পিটার ডি হাসের। বর্তমানে তিনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশন’ বিভাগের সিনিয়র উপদেষ্টা বা উপ-সহকারী সচিব ছিলেন। তারও আগে ফ্রান্স এবং ভারতের মুম্বাইয়েও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই কূটনীতিকের।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অ্যান্ড জার্মান’ বিষয়ে বিএ করেছেন। মার্শাল স্কলার হিসাবে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসে পড়াশোনা করেছেন,

যেখানে তিনি ‘পলিটিক্স অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি‘ এবং ‘কম্প্যারেটিভ গভর্নমেন্ট’ দুটি বিষয়ে এমএসসি (একন) ডিগ্রি অর্জন করেন। ইংরেজির পাশাপাশি ফরাসি এবং জার্মান ভাষায় পারদর্শী এ কূটনীতিক।