বিপিএল শুরুর দিকে ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না তিনি। তবে বল হাতে ছিলেন কার্যকরী। শেষের দিকে সেই সাকিব আল হাসান যেন দুরন্ত। ব্যাট ও বল হাতে বিধ্বংসী। বিপিএলে রেকর্ড গড়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেই সাকিব এবার আইপিএলের নিলামে অবিক্রীত। বড় হতাশারই খবর সাকিব ভক্তদের জন্য।

শনিবার বেঙ্গালুরুতে আইপিএলের মেগা নিলামের প্রথম দিনে সাকিবকে দলে টানেননি কেউ। দেবদূত পাডিকাল, জেসন হোল্ডারদের নিয়ে কাড়াকাড়ি হলেও সাকিব ছিলেন অচ্ছুত। ২ কোটি ভিত্তিমূল্যে নিলামে নাম দেওয়া সাকিবের প্রতি কেউই আগ্রহ দেখাননি।

আইপিএলে খেলতে বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সাকিবের। কিন্তু আইপিএলে দলই মিলল না বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের। অবশ্য সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি সাকিবের। নিলামের দ্বিতীয় দিনে আজ অবিক্রীত ক্রিকেটারদের একটা তালিকা দেওয়া হবে। সেই তালিকার কোনো ক্রিকেটারের প্রতি কোনো দল আগ্রহ দেখালে তার নাম আবারো নিলামে তোলা হবে। তেমন হলে দল পেতেও পারেন বিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা সাকিব।

এবারের নিলামে আরো চার বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম আছে। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে কারো নাম নিলামে ওঠেনি প্রথম দিনে।

আইপিএলের ১৪ মৌসুমের ৯টিতে খেলেছেন সাকিব। ২০০৯ আইপিএলে প্রথম নিলামে নাম তুলেছিলেন সাকিব। সেবার কোনো দল তাকে নেয়নি। পরে অবিক্রীত থেকে যান ২০১০ আইপিএলেও। আইপিএলে প্রথমবার দল পান তিনি ২০১১ আইপিএলে। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে দলে নেয় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে। এরপর থেকে ভারতের এই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে তিনি ছিলেন নিয়মিত মুখ।

২০১৪ আইপিএলের আগে কলকাতা তাকে ধরে রাখে ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে। কলকাতার হয়ে ৭ মৌসুমে ছয়বার অংশ নেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয় দলটি। ২০১৮ আইপিএলে তাকে ২ কোটি রুপিতে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন তিনি দুটি আসরে। এরপর গত আসরে আবার ফেরেন কলকাতায়।

কেবল ২০১৩ আসরে তিনি খেলেননি, ২০২০ আসরে খেলতে পারেননি আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে। এছাড়া সব আসরেই তাকে দেখা গেছে মাঠে। গত আসরে কলকাতার হয়ে অবশ্য তার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না মোটেও। ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ৯.৪০ গড় ও ৯৭.৯১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন মোট ৪৭, উইকেট নিয়েছিলেন স্রেফ ৪টি। সেই পারফরম্যান্স এবার হয়তো প্রভাব রেখেছে নিলামে।