logo
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:০৩
পৌনে চার কোটি টাকা দাবি ৫১ গ্রাহকের
ই-অরেঞ্জের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে ১২ প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ই-অরেঞ্জের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে ১২ প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ

পণ্য কেনার জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কাছে দেওয়া টাকা ফেরত এবং গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫১ গ্রাহক। ই-অরেঞ্জ শপের ৫১ গ্রাহকের পক্ষে শনিবার (ফেব্রুয়ারি) আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যংকের গভর্নর, নগদ, বিকাশ, এসএসএল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়েসহ ১২ প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে। তাদের তিন দিনের মধ্যে লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ই-অরেঞ্জে শপের ওই ৫১ গ্রাহক তিন কোটি পঁচাত্তর লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৩ টাকা পেমেন্ট করেও তারা পণ্য বুঝে পাননি। গতবছরের মে, জুন ও জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য কেনার জন্য তারা এই টাকা পরিশোধ করেন। বিদ্যমান আইনে কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে ওই অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত প্রদানে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকেরা দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। গত কয়েক বছরে এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিশেষ করে নোটিশের বিবাদীদের কার্যকর নজরদারির অভাবে আকর্ষণীয় অফার ও ডিসকাউন্টের নামে গ্রাহকদের প্রায় ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী এই কোম্পানি বিপুল অর্থ ইতোমধ্যে বিদেশে পাচার করেছে।

নোটিশে বলা হয়, ই-ওয়ালেট, গিফট কার্ডসহ আরো অন্যান্য অ-অনুমোদিত পদ্ধতিতে লেনদেন করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গ্রাহকদের সর্বশান্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে সরকারি দপ্তরগুলোর নাকের ডগায়। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বছরের পর বছর নোটিশগ্রহীতাদের কার্যকর নজরদারির অভাবে এই সব কোম্পানি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি দপ্তরগুলো তাদের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগে গাফিলতি ও ব্যর্থতার ফলে গ্রাহকরা আজ সর্বশান্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সম্ভাবনা সেটিও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। নোটিশ গ্রহীতারা কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।