logo
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৫৪
রুশ হামলার আশঙ্কা
ইউক্রেন ছাড়ছে ডজনের বেশি দেশের নাগরিক
অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেন ছাড়ছে ডজনের বেশি দেশের নাগরিক

কিয়েভে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

ইউক্রেনে রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে- এমন আশঙ্কায় নিজ দেশের নাগরিকদের দেশটি ত্যাগ করতে বলেছে ডজনের বেশি দেশ। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকদের পাশাপাশি দূতাবাস কর্মীদেরও কিয়েভ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে এক জরুরি ফোনকলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে বলেছেন, কোনো ধরনের আগ্রাসন হলে চড়া মূল্য দিতে হবে রাশিয়াকে। 

হোয়াইট হাউস বলেছে, ইউক্রেনকে ঘিরে রুশ সেনা এমনভাবে মোতায়েন করা হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আকাশ থেকে বোমা বর্ষণের মাধ্যমে শুরু হতে পারে এ হামলা। তখন দেশটি ছাড়তে যাওয়া কঠিন হবে এবং মানুষের জন্য তা হবে বিপজ্জনক। এজন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভ দূতাবাসের কর্মীদের দেশটি ত্যাগের নির্দেশ দেয় হোয়াইট হাউস। আগের দিন রুশ হামলার আশংকায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া দেশের তালিকায় আরো যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ইসরায়েল ও সৌদি আরব। এমনকি রাশিয়াও নিজেদের দূতাবাস কর্মীদের কিয়েভ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।  

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন এবং দেশটিতে তিনদিক থেকে ঘিরে রাখার কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এ যুদ্ধের আশংকা করছে। তবে মস্কো বরাবরই ইউক্রেনে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এদিকে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্থানীয় সময় শনিবার সকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ভিডিওকলে প্রায় একঘণ্টা কথা বলেনই বাইডেন ও পুতিন। এ সময় বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিনকে বলেন, সামরিক আগ্রাসন হলে ইউক্রেনে মানবিক সঙ্কট দেখা দেবে। এরজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে রাশিয়াকে। রাশিয়া হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা দ্রুত কঠিন জবাব দেবে।  

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ম্যাক্রোঁ পুতিনকে বলেছেন, একটি আন্তরিক সংলাপ এমন উত্তেজনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে না।

অন্যদিকে যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যে থাকা ইউক্রেনের নাগরিকরা শনিবার কিয়েভে বিক্ষোভ করেছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে তারা যুদ্ধবিরোধী মিছিল করেন। এ সময় তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন