logo
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:২৩
দুই কন্যাশিশু আপাতত জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে: আপিল বিভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই কন্যাশিশু আপাতত জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে: আপিল বিভাগ

প্রতীকী ছবি

আলোচিত জাপানি বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি দুই কন্যাশিশু আপাতত তাদের মা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর হেফাজতেই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

শিশু দুটির অভিভাবকত্ব নিয়ে ঢাকার পারিবারিক আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা মায়ের কাছেই থাকবে। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দিয়েছেন।

আপিল বিভাগের আদেশে গত বছর ১২ ডিসেম্বর থেকে মায়ের হেফাজতেই রয়েছে কন্যাশিশু দুটি। তবে শিশু দুটির বাবা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন।

গতবছর ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের হেফাজতে থাকবে বলে আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, যেহেতু মা জাপানি নাগরিক, সেখানে থাকেন এবং কাজ করেন, তাই তিনি নিজের সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশে এসে বছরে তিনবার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন।

হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মা। এ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতবছর ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টার মধ্যে মায়ের কাছে শিশু দুটিকে হস্তান্তর করতে তাদের বাবাকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

কিন্তু তাদের বাবা ইমরান শরীফ এই নির্দেশনা প্রতিপালন না করায় পরদিন ১৩ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে গতবছর ১৩ ডিসেম্বর এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের কাছে দিতে নির্দেশনা বহাল রাখা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময়ে দেওয়া আদেশে মায়ের হেফাজতে রাখার সময়সীমা বাড়ানো হয়।

জাপান থেকে কন্যা শিশু দুটিকে নিয়ে গতবছর ২১ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশে আসেন তাদের পিতা ইমরান শরীফ। দেশে ফিরে সন্তান দুটিকে ঢাকায় স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।

এ অবস্থায় গতবছর ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর বাংলাদেশের হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি। এ আবেদনে হাইকোর্টের আদেশের পর গতবছর ২২ আগস্ট রাতে শিশু দুটিকে তাদের বাবার বাসা থেকে উদ্ধার করে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে সিআইডি পুলিশ।

৩১ আগস্ট একই হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই দুই কন্যা শিশুকে গতবছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার সঙ্গেই গুলশান এক নম্বরে চার কক্ষের একটি ভাড়া বাসায় থাকার নির্দেশনা দেন। এরপর শিশু দুটিকে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে ওই বাসায় স্থানান্তর করা হয়। পরে দেওয়া হয় মায়ের হেফাজতে।