আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৯
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফ্ল্যাট থেকে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফাইল ছবি
কারাগারে থাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এক মামলায় গ্রেপ্তাারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মিয়া হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী চেক প্রতারণা মামলায় এ আদেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ তাদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ছিল। তারা আদালতে হাজির হননি। এজন্য বাদীর উপস্থিতিতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’'
নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, ৯ ডিসেম্বর তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ১০ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। ওইদিন তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন তোফাজ্জল হোসেন। মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে তোফাজ্জল হোসেন বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরে তোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।
আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগ ছিল অনেক দিন ধরে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে পণ্য সরবরাহকারী ও কয়েক লাখ ক্রেতার পাওনা রয়েছে পাঁচশ কোটি টাকারও বেশি।
প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। এক মামলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তারা কারাগারে আছেন।