ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম রাউন্ডের খেলা। ছয় দলের প্রথম রাউন্ড শেষে সেরা চার বা কোয়ালিফায়ারের টিকিট পেয়েছে ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। এলিমেনটর বা বাদ পড়েছে মিনিস্টার ঢাকা ও সিলেট সানরাইজার্স।
প্রথম রাউন্ডে ক্রিকেটপ্রেমীরা চারটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে। মিনিস্টার গ্রুপের তামিম ইকবাল, খুলনা টাইগার্সের আন্দ্রে ফ্লেচার, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফাফ ডু প্লেসিস ও সিলেট সানরাইজার্সের লেন্ডল সিমন্স এই সেঞ্চুরিগুলো করেছেন। সিমন্সের সেঞ্চুরিটা ছিল সবচেয়ে বড়। ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে প্রথম রাউন্ডে মোট রানে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন মিনিস্টার ঢাকা তামিম ইকবাল। ৪০৭ রান করেছেন তিনি। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৯ ইনিংসে তার খেলা হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা চারটি। তবে দুর্ভাগ্য, তামিমের তার দল কোয়ালিফায়ারে খেলতে পারছে না।
সেঞ্চুরি না পেলেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উইল জ্যাকসের রান কম না। চার হাফ সেঞ্চুরিতে তার রান ৩৯৮। মোট রানে তার পর রয়েছেন সিলেট সাইরাইজার্সের কলিন ইনগ্রাম। তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩৩ রান করেছেন তিনি। ৩৩০ রান নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আন্দ্রে ফ্লেচার। শীর্ষ চার ব্যাটারের মধ্যে ফ্লেচারের হাফ সেঞ্চুরি সবচেয়ে কম। দুটো হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার সংগ্রহে।
বোলিংয়েও নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশের একজন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমান। ৮ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ পেসার করেছেন ১৭ উইকেট। মুস্তাফিজুর একমাত্র বোলার, যিনি ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ২৭ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ফরচুন বরিশালের ডোয়াইন ব্রাভো ১৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। একই দলের সাকিব আল হাসান ১৫ উইকেট নিয়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১৩ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। খুলনা টাইগার্সের থিসারা পেরেরার উইকেট সংখ্যা ১৩।