logo
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৫৮
ফাগুন দিনের ভালোবাসা
ইসমত জেরিন স্মিতা

ফাগুন দিনের ভালোবাসা

প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘এলো বনান্তে পাগল বসন্ত’ কবিতার রূপ ধরেই যেন প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। ঋতুরাজ বসন্তের এ আগমনী সুর ও ছোঁয়ার চিহ্ন হাটে-ঘাটে-মাঠে, সর্বত্র।

সারাদেশেই লেগেছে ফাগুনের আগুনের উত্তাপ, বসন্ত বাতাসের ছোঁয়া। আর এর মাঝেই মিলিত হয়েছে ভালোবাসার আগমনী বার্তা। আজ ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। একই সঙ্গে পৃথিবীজুড়ে চলছে ভালোবাসা দিবস। বসন্ত আর ভালোবাসার এই সহযাত্রায় শিমুল আর রক্তপলাশ ফুটেছে প্রেম হয়ে। শহর মেতে উঠেছে আনন্দে। দিকে দিকে চলছে বসন্ত বরণ।

বসন্ত মানেই গাছে গাছে নতুন ফুল, সবুজ কচিপাতা, পাখির সুর, সব মিলিয়ে প্রকৃতির নতুন মুখ। তাই বাসন্তী রঙা বসনে নগরবাসী ঠিকই বরণ করে রঙিন বসন্তকে। তার ওপর একইদিনে ভালোবাসা দিবস। পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে লাল আর হলুদ রঙের ছোঁয়ায়। এই দিনটি কিভাবে কাটাবেন তার পরিকল্পনা হয়তো হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তবে সাজ নিয়ে কত চিন্তা, কত বৈচিত্র্য... তার কোনো হিসাব নেই।

চলুন জেনে নেয়া যাক এবারের বসন্তের সাজ কেমন হতে পারে...

কুয়াশা মোড়ানো শিশির জড়ানো শীতকে বিদায় জানিয়ে প্রকৃতি বরণ করে নিয়েছে বসন্তকে। বিভেদ, জড়তা আর কুসংস্কার ঝেড়ে ফেলে ফাগুনের সতেজ হাওয়ায় বসন্তকে বরণ করেছে বাঙালি। তাই বাঙালির ঘরে ঘরে আজ ফাগুনের রাঙা আয়োজন। বসন্তের হাওয়া গায়ে জড়িয়ে প্রথম দিনটিতে সবাই নানা উৎসব আয়োজনে মেতে ওঠে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায় বাড়তি উত্তেজনা।

পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস এসেছে মিশ্র একটি আবহাওয়ায়। এই সময়ে ফুলেল আবহের প্রাধান্য থাকে বেশি। শীতের বৈরী ভাব চলে যেতে থাকে এবং প্রকৃতি যে নতুন সাজে সেজে ওঠে, সে সাজে সাজি আমরাও। তাই সাজে থাকে প্রকৃতির ছোঁয়া। কৃত্রিমতা নয়, প্রকৃতির উপাদানগুলোই হতে পারে বসন্ত বা ভালোবাসা দিবসের সাজের প্রধান অনুষঙ্গ।

প্রকৃতির সৃষ্টিগত সৌন্দর্য যদি সাজে আনা যায়, তা লাবণ্য বাড়ানোর পাশাপাশি ভিন্নতাও আনবে বেশ। তাই তো রঙিন ফুল ও পাতার ব্যবহার বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের সাজের মূল উপকরণ। এ ছাড়া বাঙালি সাজের কিছু চিরচেনা বৈশিষ্ট্য বসন্তের অন্যতম অংশ। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে চোখে কাজল, হাতে রেশমি চুড়ি, কপালে টিপ আর খোঁপায় গোঁজা রঙিন ফুলের মালা। শাড়ি, কামিজ বা স্কার্টÑ সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই এই ঢঙে সাজ সহজে মানিয়ে যাবে।

এই আয়োজনে ফাগুনের রাঙা পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই চান বসন্তের রঙে নিজেকে সাজাতে। এর জন্য আবহাওয়ার ধরন বুঝতে হবে। এবারের বসন্তের শুরুতে শীত বা গরম কোনোটারই প্রকোপ নেই। তাই শীতের মতো ভারী কাঁপড়ের দরকার নেই। আবার হালকা ঠান্ডা তো আছেই। সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

 

শাড়িতে আনুন ফিউশন

বসন্তে সব মেয়েরই পছন্দ শাড়ি। হলুদ, কমলা, সবুজÑ ফাল্গুনে শুধু প্রকৃতি নয়, পোশাকেও এই রংগুলো যেন বেশিই ফুটে ওঠে। শিমুল-পলাশের ছোঁয়া লেগে যায় সাজে। হলুদ রঙের শাড়ি, মাথায় হলুদ ফুলÑ বসন্তের প্রথম দিনে এই সাজই বেশি দেখা যেত। তবে সময়ের সঙ্গে বদল এসেছে সাজ ও পোশাকে। ‘চুলে গাঁদা ফুল। হালকা সাজ। পরনে তাঁতের হলুদ শাড়ি, লাল পাড় কিংবা বাসন্তী রঙের শাড়িতে হলুদ পাড়। একসময় ফাল্গুনের সাজ বলতে এটাকেই বোঝাত।’

দেশালের ডিজাইনার ইসরাত জাহান ছোটবেলায় দেখা ফাল্গুনের সাজের বিবরণ দিলেন এভাবেই। এখনকার পোশাকের রঙে যে কিছুটা ভিন্নতা এসেছে, সেটাও উল্লেখ করলেন তিনি। বললেন, ‘প্রকৃতির রংই এখন হলুদ। হলুদ রংগুলো বেশি ফোটে।

নতুন কচি পাতা গজায় গাছগুলোতে। এ কারণেই এই রঙে সাজে মেয়েরা। তবে হলুদ রঙের সঙ্গে যায় এমন অন্যান্য রঙের ব্যবহারও চলে এসেছে। বেগুনি রঙের শাড়িতে যখন হলুদ পাড় থাকে, গয়নাও যদি হলুদ হয়, তা হলে সেটা ফাল্গুনের সাজই হয়ে যায়।’ কচি পাতার সবুজ শাড়িতে হলুদ রঙের পাড়। ম্যাজেন্টা রঙের শাড়ির সঙ্গে হলুদ রঙের ব্যবহার, গাঢ় হলুদ, হালকা হলুদ, বাসন্তী, শর্ষে ফুলের হলুদ রঙা শাড়িও বেশ দেখা যাচ্ছে বাজারে।

দেশাল রংগুলো বাছাই করে ঋতুর ওপর ভিত্তি করে। এবার বসন্তে পোশাকে নিয়ে এসেছে হলুদ, হালকা সবুজ, ফ্লোরাল মোটিভের নকশা। এ ছাড়া ম্যাজেন্টার সঙ্গে কয়েক রকমের হলুদ রং ব্যবহার করা হয়েছে।

ফাল্গুনের ফুলে হলুদ রঙের প্রাধান্য বেশি, কিন্তু অন্য রঙের ফুলও তো ফোটে। এ কারণে প্রকৃতির রংগুলোই যেন চলে আসে পোশাকে। সময়ের সঙ্গে মানিয়ে যায় বলে সুতির তৈরি পোশাকগুলোই বেশি আরামদায়ক হয়। দেশীয় কাটে তৈরি পোশাকগুলোর পাশাপাশি পাশ্চাত্য কাটে তৈরি পোশাকগুলোও অনেকে পরছেন। শাড়ি মুখ্য ভূমিকা পালন করলেও কামিজ, স্কার্ট, কুর্তাতেও মন্দ নয়।

তবে বর্তমানে একরঙা শাড়ির ট্রেন্ডটাই বেশি। এর সঙ্গে হালকা সাজটা বেশ মানিয়ে যায়। শাড়ি এক রঙের পরলে ব্লাউজটা বাহারিই থাকা চাই। হালকা হলুদ জমিন ও কমলা পাড়ের শাড়ির সঙ্গে লাল ব্লাউজ মানানসই। কমলা রঙের ব্লাউজ পরতে পারেন হালকা সবুজ জমিন হলুদ পাড়ের শাড়ির সঙ্গে।

পয়লা ফাল্গুনে ঘটি হাতা, খাটো হাতার ব্লাউজের আবেদন তো আছেই। ব্লাউজে ছোট ঘণ্টা, কলকা ব্যবহার করা যেতে পারে। শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে ব্লাউজের রংটা বেছে নিন। গলায় বা হাতে যে কোনো একটি গয়না পড়ুন। এছাড়া মেটাল, কড়ির গয়না পরতে পারেন। বসন্তে ঘরে বসেই সেজে নিতে পারেন অনায়াসে।

যে কোনো উজ্জ্বল রঙের শাড়িতেই এখন সেজে উঠছেন নারী। অথবা একেবারে সাদা শাড়ির সঙ্গে পাড়-আঁচলে ভরাট কাজের বর্ণিল সাজ। একটা রঙিন মালা কিংবা মাথায় ফুল। এই সময়ে প্রকৃতির রংই হলুদ। হলুদ রংগুলোই বেশ ফোটে বাসন্তী পোশাকে। গাছে গাছে নতুন কচি পাতা গজায়। এমন থিম থেকে টিয়া, ফিরোজা, সবুজের নানা শেড, এমনকি পহেলা ফাল্গুনের পরদিন ভালোবাসা দিবস হওয়ায় অনেকে লালও পরছেন।

রঙে এখন তাই আর বাঁধাধরা কোনো নিয়মের বালাই নেই। মোট কথা, হলুদ রঙের সঙ্গে যায় এমন অন্যান্য রঙের ব্যবহারও চলছে বেশ। রাতের সাজে তো মেয়েরা নীল, বেগুনি, খয়েরি, ম্যাজেন্টাও পরছেন। যেকোনো রঙের পোশাকে যদি গয়না বা ব্লাউজ হলুদ হয়, তাহলে সেটা ফাল্গুনের সাজই হয়ে যায়।’ জানালেন রেড বিউটি স্যালনের রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। মূলত, ফাল্গুনের ফুলে হলুদ রঙের প্রাধান্য হলেও অন্য রঙের ফুলও তো ফোটে। এ কারণে প্রকৃতির রংগুলোই যেন চলে আসে পোশাকে। সময়ের সঙ্গে মানিয়ে যায় বলে সুতি, সিল্ক, মসলিনের তৈরি শাড়িগুলোই বেশি আরামদায়ক হয়। দেশি উপাদানে তৈরি শাড়িগুলো মানিয়েও যায় বেশ।

ব্লাউজে ক্রপটপ

রঙে রঙে রূপ খুলছে প্রকৃতির। শীতের ধূসরতা সরে যাচ্ছে। আর সঙ্গে চলছে আমাদের বসন্তবরণের প্রস্তুতি। শাড়ির সাথে চাই মানানসই ব্লাউজ। সেই সাথে ব্লাউজটি ফ্যাশনেবল কি-না তাও গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের ব্লাউজের প্রচলন চলছে এখন। কেউ কেউ বোট নেক, ডিপ নেক, গোল গলারও ব্লাউজ পরছেন। শাড়ির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে ব্লাউজের জুড়ি নেই। শাড়ির পাশাপাশি এখন নজর কাড়ছে ব্লাউজও। তাই স্টাইলিশ কাটের টপ যাঁরা পরতে চান, তাঁদের জন্য হাতে ফ্রিল দেওয়া টপ।

শাড়ির সঙ্গে ক্রপ টপগুলো এখন বেশ জনপ্রিয়। সেটা যেকোনো কাটের হতে পারে। সুতির হলুদ শাড়িতে পোলকা ডটের প্রাধান্য। ব্লাউজেও আছে একই নকশা। চুলে হালকা কোঁকড়ানো ভাব হলুদ শাড়ি আর কমলা ব্লাউজ। বোট নেকের ব্লাউজের হাতার শেষ দিকটা বেশ ঢিলেঢালা। মাঠে খুঁজে পাওয়া ফুলগুলো হয়েছে মাথার মুকুট।

অনেকেই ব্লাউজে বোটনেক গলা দিতে ভালোবাসেন। এই ধরনের ব্লাউজ পরলে অন্যরকম এক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। বোট নেক পরলে লুকটা সামান্য ভারি দেখায়। তবে আপনি চাইলে বোট নেকটা গলার দিকে একটু ছড়িয়ে দিতে পারেন। ওঠানো গলার ব্লাউজ হলে চুল বেঁধে কিংবা খোঁপা করে তাতে ফুল দিতে পারেন। এতে ব্লাউজের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে ঠিকঠাক। ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকে হাতা কাটা ব্লাউজ পরেন। তবে হাতা কাটা ব্লাউজে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য কি-না তা বুঝে নিন।

হাত মেদবহুল হলে কনুই পর্যন্ত হাতাওয়ালা ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। উৎসবে পিঠকাটা ব্লাউজ পরতে পারেন। এর জন্য পিঠের ত্বকের পরিচর্যার বিষয়টাও জরুরি। অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে পিঠে অল্প মেকআপও করে নিতে পারেন। অতিরিক্ত আঁটসাঁট ব্লাউজ পরবেন না। এতে উল্টো অস্বস্তি হবে অনেক। গর্জিয়াস লুক আনার জন্য কাঁধের কাছে ভারি কাজ করা ব্লাউজ পরতে পারেন। এতে গড়ন চওড়া দেখায়। আবার ছোট ছোট নকশাওয়ালা ব্লাউজও বেছে নিতে পারেন। এই তো হয়ে গেল পূর্ণাঙ্গ বসন্ত দিবসের ভালোবাসার সাজ।

সাজের অনুষঙ্গ হোক ভালোবাসাময়

পোশাক তো গেল, সাজ অনুষঙ্গের কি হবে। পোশাকে-পরিচ্ছদে না মিললে তো একেবারেই চলবে না! শাড়ির সাথে চাই হাতভর্তি রিনিঝিনি রেশমি কাচের চুড়ি। কপালে ভোরবেলার লাল সূর্যের মতো লাল রঙা টিপ আর খোপায় গাঁদার ফুল। গোলাপ, গাঁদার সাথে জারবেরাও এখন শোভা পায় কানের পাশেই। খোপা না করলে, খোলা চুলে বা এক বেনুনীতে খারাপ লাগবে না! বসন্ত বরণের পরিচ্ছদ মানেই ফুলের মালা আর মাথায় ফুলের মুকুট দিলে তবেই না হলেন বাসন্তী রানী!

এক গাদা ভারী ডিজাইনের গহনা পরলেই আপনার ফ্যাশন বৈচিত্র্যের ভিন্নমাত্রা আনবে ব্যাপারটা আসলে তা কিন্তু নয়। বরং খুব সাধারণ একটি পোশাকের সঙ্গে বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি পুঁতির মালা পরেই দেখেন কতটা অনন্যা হয়ে গেছেন সবার কাছে। আজকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বিডস বা পুঁতির গহনা এক অনন্য আনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কারণ হচ্ছে পুঁতির মালা বা পুঁতির গহনা খুব সহজলভ্য, ইজিলি ক্যারি করা যায় এবং সর্বোপরি যে কোনো হাল ফ্যাশনের বা ক্ল্যাসিক্যাল ড্রেসের সঙ্গেও সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়।

গলায় ফুলের মালা না পরতে চাইলে আজকাল বাজারে কাঠ, পুঁতি, মাটি, মেটাল, পাথর বিভিন্ন ধরনের কারুকার্যময় কানের ও গলার সেট পাওয়া যায়। শাড়ির সাথে এই সেটগুলোও বেশ মানান সই কিন্তু! পায়ে চাইলে আলতা রাঙিয়ে চলার ছন্দ আনতে পরে নিতে পারেন চিকন কাজের নূপুর।

কেমন হবে মেকাপ

প্রকৃতি যখন নিজে তার রঙে আপনাকে সাজিয়ে দিচ্ছে সেখানে ভারি মেকআপ কি খুব দরকার বলুন? আর সারাদিনের মেলার ভিড়ে ভারি মেকআপ বেমানানও বটে। তবুও বসন্ত রানীর সাজটা হোক স্নিগ্ধতায় পূর্ণ।

ভালোবাসা দিবসের মেকআপে চোখের সাজকে প্রাধান্য দিন। মুখের মেকআপ হবে হালকা। ফোটা ফোটা স্টিক ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ভালোমতো মাখুন। হালকা ফেস পাউডার লাগান, তার ওপর পিচ কিংবা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিন। হয়ে গেল সারা দিনের মেকআপ বেজ। চোখে স্মোকি সাজই চলছে এখন। তবে স্মোকি মানেই কালো নয়, তাতে যোগ হয়েছে হরেক রং।

রাতে চোখে যে কোনো শ্যাডো পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে হাইলাইট হতে পারে সোনালি, বাদামি, রুপালি, পার্ল, তামাটে রঙের। চোখের কোণে একটু কালো শ্যাডো মিশিয়ে নিলেই গভীর হবে আপনার চোখের ভাষা। সারা দিনের জন্য ঠোঁট সাজাতে বেছে নিন পেনসিল ম্যাট লিপস্টিক। দিন হোক আর রাত, লাল, কমলা কিংবা অন্য উজ্জ্বল রং আপনি বেছে নিতে পারেন। নিজে আত্মবিশ্বাসী থাকলে যে কোনো রঙেই আপনি হয়ে ওঠবেন অনন্যা।

খেয়াল রাখুন

উৎসবের বন্যায় ভাসলেই হবে না। খেয়াল রাখতে হবে স্বাস্থ্যেরও। কেননা এখনো করোনার প্রভাব বিদ্যমান। সেখানে বেড়াতে যান না কেন, স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলুন। সকালে ৩০ মিনিট ফ্রিহ্যান্ড ব্যায়াম, হালকা মেডিটেশন, প্রাণায়াম কিংবা যোগব্যায়াম করে নিলে সারাদিন শরীর ঝরঝরে থাকবে। ভালোবাসার এইদিনে হাঁটা হবে অনেক পথ। তাই পায়ের জুতা আরামদায়ক হওয়া চাই। বাইরে কম ক্যালরির খাবার যেমন স্যান্ডউইচ পাস্তা, কম পনির দেওয়া পিৎজা খান। পানি বা জুস খাবেন। এ মৌসুমে বাতাসে প্রচুর ধুলাবালি থাকে। যাদের অ্যাজমা বা অ্যালার্জি আছে, তারা মাস্ক এবং ইনহেলার নিতে ভুলবেন না।