logo
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:০১
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ফের পিটিয়ে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ফের পিটিয়ে হত্যা

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার (ব্ল্যাসফেমি) অভিযোগে ফের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা। ওই ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের কয়েকটি পৃষ্ঠা পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গেলেও বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করে। এর আগে গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককে হত্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। এ নিয়ে তখন বিশ্বজুড়েই তোলপাড় হয়।

পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলার জঙ্গল ডেরা গ্রামে শনিবার ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেধে মারপিট করছিল জনতা। গাছে ঝুলিয়ে ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করা হচ্ছিল নির্মমভাবে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করলেও পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি একটি মসজিদের সামনে সিগারেটের আগুন দিয়ে কোরআনের পাতা পুড়িয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি মানসিক রোগী। তিনি অনেকদিন এলাকায় ছিলেন না। কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরে আসেন।

এদিকে এমন হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সেখানে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাবে সরকার। গণপিটুনির ঘটনা কঠোর হাতে দমন করা হবে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

গত ডিসেম্বরে শিয়ালকোটে শ্রীলঙ্কার এক ইঞ্জিনিয়ারকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।

একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্যে দেখা গেছে, পাকিস্তানে ১৯৪৭ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৭১ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারীকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হত্যা করা হয়েছে।  

সূত্র: ডন ও বিবিসি।