logo
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:১৩
খায়রুজ্জামানকে হস্তান্তরে মালয়েশিয়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

খায়রুজ্জামানকে হস্তান্তরে মালয়েশিয়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। গত শুক্রবার একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

খায়রুজ্জামান জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর অধীনে দেশটিতে অবস্থান করছেন এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত শরণার্থী হিসেবে তার কার্ডের মেয়াদ রয়েছে। কোনো শরণার্থী স্বেচ্ছায় নিজ দেশে না ফেরলে জোর করে তাকে ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই।

জেলহত্যা মামলায় খালাস পাওয়া খায়রুজ্জামানকে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে তলব করে। তবে তিনি ফেরেননি। অভিবাসী আইন ভঙ্গের ফলে সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করেছিল মালয়েশিয়ার পুলিশ। এরপরই তাকে ফেরাতে উদ্যোগী হয় বাংলাদেশ। তবে দেশটির আদালতের সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় আটকে গেল ফেরানোর প্রক্রিয়া।

খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এ এস ঢালিওয়াল ফ্রি মালয়েশিয়া টাইমসকে বলেন, খায়রুজ্জামানের বৈধ ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট আছে। তিনি মালয়েশিয়ায় কোনো কাজ করছিলেন না, বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তিনি রাজনৈতিক শরণার্থী। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, ১৯৫১ সালের শরণার্থী সনদ অনুমোদন করুক বা না করুক, শরণার্থীদের জীবন বা স্বাধীনতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমন কোনো দেশে জোর করে ফেরত না পাঠানো প্রতিটি দেশের দায়িত্ব।

খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি ফ্রি মালয়েশিয়া টাইমসকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র খায়রুজ্জামানের গ্রিন কার্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু মালয়েশিয়ার পুলিশ তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র না দেওয়ায় তিনি গ্রিন কার্ড পাচ্ছেন না।