ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয় অব্যাহত রেখেছে লিভারপুল। রোববার বার্নলির বিপক্ষে তারা ১-০ গোলে জয় পেয়েছে। টার্ফ মুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লিভারপুলকে জয় এনে দেওয়া একমাত্র গোলটি করেন ফাবিনহো। এ জয় তাদের অপরাজিত থাকার ম্যাচের সংখ্যা আরও একটা বাড়িয়ে দিল। গত ২৮ ডিসেম্বরের পর থেকে তারা অপরাজিত রয়েছে।
বার্নলির বিপক্ষে এ জয়টা লিভারপুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ জয় তাদেরকে ভালোভাবে শিরোপার দৌড়ে টিকিয়ে রাখলো। ২৫ ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার সিটি ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে নেতৃত্বে রয়েছে। অন্যদিকে লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৪। তবে তারা একটা ম্যাচ কমে খেলেছে। ফলে তাদের সামনে ব্যবধান আরো কমানোর সুযোগ রয়েছে।
লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ এ ম্যাচকে ঘিরে দলকে শক্তিশালী করে সাজিয়েছিলেন। আফ্রিকান নেশনস কাপের জন্য লম্বা একটা সময় দলের দুই মূল খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানেকে পাননি। আগের ম্যাচে স্বল্প সময়ের জন্য তারা মাঠে নামলেও এ ম্যাচে ছিলেন শুরু থেকে।
ম্যাচে গোলের প্রথম সুযোগ তৈরি করেছিল বার্নলি। জস ব্রাউনহিলের দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন কিন্তু লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসনের দৃঢ়তায় সে প্রচেষ্টা নষ্ট হয়ে যায়। বার্নলি ম্যাচটা লিভারপুলের জন্য এতটাই কঠিন করে তুলেছিল যে, সফরকারী দলকে প্রথম সুযোগের জন্য ২১ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। শুধু তাই নয়, আক্রমণ প্রতি আক্রমণে বার্নলি ম্যাচে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া আক্রমণের রচনায় তারা লিভারপুলের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে ছিল। তারপরও তারা যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে এ জন্য নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারে। একই সঙ্গে লিভারপুল কোচ দলের পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ম্যাচ শেষে ফাবিনহো বলেন, এখানে খেলাটা সবসময় কঠিন। বার্নলি সবসময়ের জন্য কঠিন জায়গা। মাঝে মাঝে আমরা ফুটবল খেলাটা ভুলে যাই। যাহোক আমাদের আরও গোল পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আমরা পাইনি। তবে শেষ পর্যন্ত যা হয়েছে তা ভালো হয়েছে। আমরা তিন পয়েন্ট পেয়েছি।
কোচ ক্লপ বলেন, এখানকার পরিস্থিতিতে যেভাবে খেলা হয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। মাঠে যেভাবে বাতাস বয়েছে যারা মাঠে ছিল শুধু তারাই বলতে পারবে। বাতাস চারদিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছিল। সবসময় আমাদের এমন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়। যাহোক আমরা অনেক ধরণের পরিস্থিতির মুখে পড়েছি এবং সে সব পরিস্থিতি ভালোভাবে মোকাবেলা করেছি। আমি সত্যিই খুশি।’