বসন্তের প্রথম দিন আর ভালোবাসা দিবস সবার মনে এক অন্যরকম রঙ বয়ে এনেছে। আনন্দে মেতেছে সকলের মন। ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার পহেলা ফাল্গুন বসন্তবরণ ও বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস। দুই দিবসকে ঘিরে যশোর মেতেছিল এক উৎসবমুখর পরিবেশে।
করোনাকালেও যশোরের পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রে সব বয়সের মানুষের অন্য দিনের তুলনায় উপস্থিতি ছিল বেশি।
যশোরের বিভিন্ন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রে দেখা গেছে, কেউ এসেছেন তার পরিবারকে নিয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে। কেউবা এসেছেন প্রেমিককে নিয়ে, কেউ আবার বন্ধুদের সাথে।
এই দুই দিবসকে কেন্দ্র করে শহরের ফুলের দোকানগুলোতে ছিল প্রচুর ভিড়। দিবসকে কেন্দ্র করে শহরের মোড়ে মোড়ে বসে অস্থায়ী ফুলের দোকান। এইদিনে ফুলের দাম ছিল চড়া। তবুও অনেকেই ফুল কিনেছেন তার ভালোবাসার মানুষকে খুশি রাখতে।
সোহেল শেখ নামে এক কলেজ শিক্ষক এসেছেন তার পরিবার নিয়ে শহরের পৌর পার্কে। তিনি বলেন, ভালোবাসার জন্য আলাদা কোনো দিন হয় না। তবুও এই দিনটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। সে কারণেই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি ঘুরতে। ফুল কিনেছি মেয়ে ও স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য।
সায়ন, আল মামুনসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে এসেছেন পার্কে ঘুরতে। তারা বলেন, প্রতিদিনই বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি হয়, আড্ডা হয় তারপরও আজকের দিনটা একটু আলাদা। সে কারণে ঘুরতে বেরিয়েছি।