logo
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:১৮
ইউক্রেনে হামলার অজুহাত খুঁজছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে হামলার অজুহাত খুঁজছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়া যে কোনও সময় ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালাতে পারে এবং হামলার জন্য আকস্মিকভাবে অজুহাত তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার নেটো অঞ্চলের ‘প্রতিটি ইঞ্চি’ রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ওয়াশিংটন একথা বলেছে। ইউক্রেইন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। সংকট নিরসনে ওয়াশিংটন কূটনীতির দ্বার খোলা রাখলেও তাতে সফলতা আসেনি।

যুক্তরাষ্ট্র বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ইউক্রেইনে আগ্রাসন আসন্ন। আর রাশিয়া এমন কোনও পরিকল্পনা থাকার কথা অস্বীকার করে বলে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো ভীতি ছড়াচ্ছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎজ সোমবার কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

তার আগে রাশিয়াকে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন শুলৎজ। তাছাড়া, রাশিয়া আগ্রাসন চালালে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, এখন “যে কোনও দিন আগ্রাসন শুরু হতে পারে।” সিএনএন-কে তিনি বলেন, “আমরা নির্ভুলভাবে দিন অনুমান করতে পারি না।কিন্তু আমরা এখন বলছি যে, আমরা বাতায়নে আছি।”

রাশিয়া আকস্মিকভাবে কোনও ‘ভুয়া’ অভিযান চালাতে পারে। আর একে তারা ইউক্রেইনে আগ্রাসনের অজুহাত বানাতে পারে জানিয়ে সুলিভান বলেন, সেই সুযোগ যাতে রাশিয়া না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে গোয়েন্দা তথ্য জানাতে থাকবে। সিবিএস নিউজের সঙ্গে আলাদা একটি সাক্ষাৎকারে সুলিভান আরও বলেন, “ওয়াশিংটন নেটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চির সুরক্ষা দিয়ে যাবেৃ এবং আমরা মনে করি রাশিয়া পুরোপুরিই এই বার্তা বোঝে।”

জার্মানির এক কর্মকর্তা বলেছেন, বার্লিন কূটনীতি থেকে বাস্তবসম্মত ফল আশা না করলেও এ পথকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করে। ওদিকে, যুক্তরাজ্যে ইউক্রেইনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিস্তাইকো বিবিসি-কে বলেছেন, যুদ্ধ এড়াতে কিয়েভ নেটো জোটে যোগ দেওয়ার চেষ্টা ছেড়ে দিতে পারে। আর তা হলে সেটি হবে মস্কোর জন্য বড় ধরনের ছাড়।

ইউক্রেইন নেটো জোটে যোগ দিলে যুদ্ধ বেধে যাবে বলে সতর্ক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ পরিস্থিতিতে কিয়েভ নেটো সদস্যপদ প্রশ্নে অবস্থান বদলাবে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে প্রিস্তাইকো বলেন, “আমরা সেটা করতে পারি- বিশেষ করে ওইভাবে হুমকিগ্রস্ত, ব্ল্যাকমেইল হওয়া এবং চাপে পড়ায় তা করতে হতে পারে।”

ইউক্রেইন পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর সদস্য নয়। তবে ২০০৮ সালে দেশটিকে নেটো জোটভুক্ত হওয়ার সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ইউক্রেইন নেটো সদস্য হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই জোটের পরিসর বিস্তৃত হয়ে যাবে রাশিয়ার সীমান্ত র্পর্যন্ত। এতে হুমকিতে পড়বে মস্কোর নিরাপত্তা।

বিবিসি থেকে অনূদিত