‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ এই দিনটিকে ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশ করেছে দিনাজপুরের নানা বয়সের, নানা পেশার মানুষ। অনেকেই নিজের পিতা-মাতাকে ফুল দিয়ে শুরু করেছে দিনটি। কেউ আবার দিনটিতে প্রিয়জনকে ফুল নিবেদন করছে। কেউবা আবার বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধদের খাইয়ে পালন করেছে দিনটি। একই দিনে পহেলা ফাল্গুন উৎসব পেয়ে খুশির জোয়ার এসেছে অনেকের মনে।
দেখা গেছে, সোমবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুর শহরের ফুলের দোকানগুলো অনেকেই ফুল কিনতে এসেছে। ফুলের দোকানী তাদের দোকানের পরসা সাজিয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে। গোলাপসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানগুলোতে। পূর্বের তুলনায় গোলাপের বাজার ছিল বেশ চড়া। তবুও থেমে নেই ফুল বিক্রি।
ফুলের দোকানে ফুল কিনতে আসা মুন্নি আক্তার বলেন, ‘ভ্যালেন্টাইন ডে শুধু মাত্র ভালোবাসার মানুষকে ফুল নিবেদনের দিন নয়। এই দিনে আমি মনে করি প্রতিটা সন্তানের উচিৎ নিজের বাবা-মাকে ফুল দেওয়া। আমি আজ ফুল কিনতে এসেছি আমার বাবার জন্য। আমি একটা গোলাপ নিয়েছি। বাড়ি ফিরে বাবাকে দিতে চাই।’
মোহাম্মদ আলী নামে এক সরকারি কর্মচারী ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আমি আজ গোলাপ কিনতে এসেছি। গোলাপ কিনলাম। আমি এই দিনে আমার সহকর্মীদের গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা নিবেদন করবো। যাতে করে আমার আগামী চাকরি জীবনে তাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়।’
পৌর শহরের ছয় রাস্তা মোড় এলাকার ঝুমা আক্তার বলেন, ‘আজকে ভালোবাসা দিবস। আজকে আমি শান্তি নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) যাবো। আমাদের বয়জ্যাষ্ঠো যারা রয়েছে তাদের নিজের হাতে খাওয়াতে চাই। তারপরে যদি সময় পাই তবে ছেলেমেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো। ভালোবাসা দিবস মানে তো এই নয় যে, কাপোল নিয়ে ঘুরাঘুরি।’
তিথী আক্তার ফাগুন উৎসবের সঙ্গে ভালোবাসা দিবসের আমেজ পেয়ে খুবই খুশি। তিনি বলেন, ‘আজ ভালোবাসা দিবস। তারপরে আবার ফাগুন উৎসব। সত্যি খুব ভালো লাগছে। আজ অনেক আনন্দে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি কাটাতে চাই। ‘