logo
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪৬
পিতার ওপর প্রতিশোধ নিতেই ছেলেকে হত্যা করে মোমেন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

পিতার ওপর প্রতিশোধ নিতেই ছেলেকে হত্যা করে মোমেন

ঈদের রাতে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল মোমেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তা ভেঙে ফেলেন আবু হুরায়রার বাবা আব্দুল বারেক। আর এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে ছেলে হুরায়রাকে হত্যার পরিকল্পনা করে মোমেন। হুরায়রা প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় কৌশলে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তালতলা এলাকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হুরায়রার হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এ সব তথ্য জানান।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোমেনকে গত রোববার তালতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় আবু হুরায়রার লাশ।

রোববার গভীর রাতে তালতলা এলাকার কবর স্থান থেকে হুরায়রার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওসি জানান, গত দুই বছর আগে ঈদের রাতে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল রাজমিস্ত্রির সহযোগী মোমেন ও তার বন্ধুরা। সাউন্ড বক্সের শব্দে ক্ষিপ্ত হন আব্দুল বারেক। রাগে তিনি সেই সাউন্ড বক্সের টেবিলে লাথি মারলে সেটি ভেঙে যায়। এতে মোমেনের তিন হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

এ ঘটনায় মোমেন প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজতে থাকে। আর এ জন্য সে টার্গেট করে আব্দুল বারেকের শিশুপুত্র আবু হুরায়রাকে। গত ১৯ জানুয়ারি হুরায়রা প্রাইভেট পড়তে বের হয়। এ সময় মোমেন তাকে একা পেয়ে খোরগোশের লোভ দেখায়। তারপর তাকে তালতলা সরকারি কবরস্থানে নিয়ে যায়। এরপর হাত-পা বেঁধে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মোমেন।

হত্যার পর প্রথমে লাশ রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত আটটার দিকে আবারও এসে লাশ পুঁতে রাখে মোমেন।

এ ঘটনায় দুপুরে সদর থানায় সংবাদ সন্মেলন করেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক (প্রশাসন) বলেন, ‘ঘাতক মোমেনকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তার কাছ থেকে আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।’