মিয়ানমারের কারেন রাজ্য খ্যাত কায়াহতে যুদ্ধাপরাধ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রাজ্যের নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর নির্বিচারে গণহত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে সামরিক জান্তাবাহিনী। এতে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে হাজার হাজার বাসিন্দা। তারা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে থাইল্যান্ডের সীমান্তে।
প্রখ্যাত মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস এক প্রতিবেদনে আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এ হত্যাযজ্ঞ ও দমনপীড়ন চালানো হয়।
ফর্টিফাই রাইটস জানায়, প্রমাণ রয়েছে, এসব হামলা চালানো হয়েছে বাড়িঘর, গীর্জা, এমনকি বাস্তুচ্যুত লোকজনের ক্যাম্পে। সবচেয়ে ভয়ানক হামলা হয়েছে গত ডিসেম্বরের শেষদিকে। এ সময় অন্তত ৬১ জনকে হত্যা করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, হপ্রুসো টাউনশিপে ক্রিসমাসের আগমুহূর্তে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। ওই এলাকায় একদিনেই ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে একটি শিশু এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের দুই কর্মীও রয়েছেন।
ফর্টিফাই রাইটসের আঞ্চলিক পরিচালক ইসমাইল ওলফ বলেন, মিয়ানমার জান্তা অস্ত্র দিয়ে লোকজনকে হত্যা করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছ থেকে তাদের এই অস্ত্র কেনা বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অতিসত্বর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। বিষয়টিতে সমর্থন দেওয়া আসিয়ানের জন্য কৌশলগত ও বুদ্ধিমানের হবে।
সূত্র: আলজাজিরা।