ইউক্রেন ঘিরে যুদ্ধের উত্তেজনার পারদ না নামলেও এখনো কূটনৈতিক সমাধানের আশা দেখছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতারা। মঙ্গলবার দীর্ঘ এক ফোনালাপে এ সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও ইউক্রেন ইস্যুতে কূটনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে জানায়, ইউক্রেন ইস্যুতে দীর্ঘ ৪০ মিনিট কথা বলেছেন বাইডেন ও জনসন। ফোনালাপে দুই নেতাই একমত হয়েছেন যে, ইউক্রেন সঙ্কটে একটি সমঝোতার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ইউক্রেনকে হুমকি দেওয়া থেকে রাশিয়ার সরে আসার এবং কূটনৈতিক সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ পথ এখনো আছে।
দুই নেতা বলেছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফল হিসেবে রাশিয়াকেও কিছু সঙ্কট মোকাবেলা করতে হতে পারে, যা রাশিয়া ও বিশ্বের জন্য ক্ষতি।
ইউক্রেনকে তিনদিক থেকে ঘিরে রয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। দেশটির সীমান্তে অবস্থান করছে এক লাখের বেশি রুশ সেনা। কৃষ্ণসাগরে মহড়ার নামে অবস্থান করছে যুদ্ধজাহাজ। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাতে আশঙ্কায় পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অবস্থান জোরদার করেছে ন্যাটো। এতে ইউক্রেন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা চলতে থাকে। তবে রাশিয়া বরাবরই সামরিক আগ্রাসন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করছে।
হোয়াইট হাউস আশঙ্কা জানায়, যেকোনো মুহূর্তে রাশিয়া আকাশ থেকে বোমা বর্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
যুদ্ধের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ এক ডজনের বেশি দেশ নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দেয়। দূতাবাস কর্মীদেরও সরিয়ে নেয় কয়েকটি দেশ।
সূত্র: বিবিসি।