logo
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:২২
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন যারা
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন যারা

অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধনের পর ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে রাজধানীর বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণে যুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বইমেলার উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে তার পক্ষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এবছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবিতায় আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, কথা সাহিত্যে ঝর্ণা রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ/গবেষণায় হোসেন উদ্দিন হোসেন, অনুবাদ সাহিত্যে আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, নাটকে সাধনা আহমেদ, শিশু সাহিত্যে রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণায় পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণায় হারুন-উর-রশিদ, সায়েন্স ফিকশন/এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে শুভাগত চৌধুরী, আত্মজীবনী/ভ্রমণকাহিনী ক্যাটাগরিতে সুফিয়া খাতুন ও হায়দার আকবর খান রনো এবং লোককাহিনী ক্যাটাগরিতে আমিনুর রহমান সুলতান।

বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। আরো বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মদিন আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন।

ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এই বইমেলা খোলা থাকবে। রাত ৮ টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮ টা থেকে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

মেলায় মোট ৩৫ টি প্যাভিলিয়নসহ একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট সহ মোট ৫৩৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাবরের মতো বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভেলিয়ন, শিশুকিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য ১টি এবং সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকার এর জন্য ১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার শিশুচত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে রাখা হয়েছে। তবে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রথমদিকে ‘শিশু প্রহর’ থাকছে না।

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪টি প্রবেশপথ ও ৩টি বাহির পথ জনসাধারণের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য থাকছে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মানপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসস