logo
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৪১
কিশমিশের উপকারিতা

কিশমিশের উপকারিতা

ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে আমাদের কাছে অন্যতম পরিচিত হচ্ছে কিশমিশ। পোলাও, পায়েসসহ বিভিন্ন রান্নায় মূলত কিশমিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন।
বিভিন্ন খাবারে কিশমিশ দিলে স্বাদ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

এ ছাড়া চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে যদি স্বাদ না পান, তবে স্বাদ বৃদ্ধি করতে সেগুলো কিশমিশের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে পারেন। কিশমিশ অনেক পরিচিত হলেও কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকেই জানেন না।

গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে এটি। জানুন কিশমিশ খাওয়ার সাত স্বাস্থ্য উপকারিতা-


১. হজমে সহায়তা করে


প্রতিদিন কয়েকটি কিশমিশ খেলে পেট ভালো থাকে। এতে ফাইবার থাকে, যা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে। আর এগুলো পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতিদিন কিশমিশ খেলে তা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়মিত রাখে এবং তাতে থাকা ফাইবারগুলো বিষাক্ত পদার্থ ও বর্জ্য পদার্থকে সিস্টেমের বাইরে রাখতেও সাহায্য করে।


২. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়


কিশমিশে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম অনেক ভালো মাত্রায় থাকে। আর এগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সিস্টেম থেকে টক্সিন অপসারণ করার পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস, গাউট, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।


৩. রক্ত স্বল্পতায় উপকারী


কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকায় তা রক্ত স্বল্পতার চিকিৎসায় সাহায্য করে। আর কিশমিশে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।


৪. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে


কিশমিশে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা টিউমার এবং কোলন ক্যানসারের কারণ হতে পারে।


৫. সংক্রমণের চিকিৎসায় সাহায্য করে


কিশমিশে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যেটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে সুপরিচিত। আর এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদর্শন করায় তা জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এ জন্য দিনে কয়েকটি কিশমিশ খেলে তা আপনার ঠান্ডা এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।


৬. ওজন বৃদ্ধি করতে উপকারী


আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান, তা হলে আপনার জন্য সেরা হতে পারে কিশমিশ। এটি ফ্রুক্টোজ ও গ্লুুকোজ সমৃদ্ধ এবং আপনাকে প্রচুর শক্তি দিতে পারে। আর এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল না জমতে দিয়ে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


৭. ত্বকের জন্য উপকারী


কিশমিশ ত্বককে ভেতর থেকে রক্ষা করে কোষকে যে কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি কার্ডিসেলগুলোকে বাধা দেয়।

এ কারণে এটি বার্ধক্যের লক্ষণ যেমন বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যা বিলম্ব করতে সাহায্য করে।


তথ্যসূত্র: স্টাইলক্রেজ ডটকম