বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌর সচিব রেজাউল করিমকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জজ আদালতে দুদকের একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। তবে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালতে আসামিপক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একে আজাদ ফিরোজ টিপু সহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মিলন কুমার ব্যানার্জি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌর সচিব রেজাউল করিমের নামে গত বছরের ২৫ নভেম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদকের খুলনা কার্যালয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
এর আগে মামলায় জামিন চেয়ে আসামিরা হাইকোর্টে আবেদন করলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ তাদেরকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বাগেরহাট ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়।
এদিকে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করায় তার সমর্থরা বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।